রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বসতবাড়ি ও পথে প্রান্তরে বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। গোখড়া, কালাচ, কিং কোবরা, গোমা, ডারাইস, কেউটে ও ডোরা সাপসহ নানা ধরণের সাপের উপদ্রব বেড়েছে। এসব সাপ গর্ত থেকে বেড়িয়ে লোকালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে মানুষ সাপের আতঙ্কে রয়েছে। অনেকেই সাপের ভয়ে রাতে চলাচল বন্ধ করেছে। রংপুর নগরীর ১৫,৩১,৩২ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি সাপের উপদ্রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তামপাট, দর্শনা, মাহিগঞ্জ সরেয়ারতল এলাকায় বিষধর সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দু’জনকে সাপে কেটেছে, এর মধ্যে একজন মারা গেছে। সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় শিশু-কিশোরসহ বয়স্করা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে সাবেক ১৫টি ওয়ার্ড মূল নগরীতে। বাকি ১৮টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকাই গ্রাম। সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত এলাকাগুলোতে ঝোপঝাড়, পুকুর-নালা ও খাল বেশি হওয়ায় সেখানে সাপ নিরাপদ আশ্রয়ের স্থান খুঁজে পেয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে নগরীর আরাজি তামপাট এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (৩৬) সাপের দংশনে মারা যান। এরপর বড় রংপুর এলাকার গফুর মিয়ার স্ত্রী পেয়ারি বেগমকে সাপ দংশন করে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন। গত বুধবার বড় রংপুর এলাকার আকবর আলীর বাড়িতে সাপ বের হয়। পরে এলাকাবাসী ওই সাপটি মেরে ফেলে। দুলাল মুন্সীর বাড়ি সংলগ্ন একটি দোকানের সামনেও সাপ দেখা যায়। গত বৃহ¯পতিবার বড় রংপুর এলাকার মোশারফ হোসেনের বাড়িতে দুটি সাপের আনাগোনা দেখা যায়। পরে সাপ দুটিকে মেরে ফেলা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের সরেয়ারতল বাজার সংলগ্ন মনোয়ার হোসেনের বাড়িতে সাপ দেখে আতঙ্কে
ছুটোছুটি করেন বাড়ির মানুষ। এরআগেও ওই বাড়ির আশপাশে সাপ দেখা গেছে বলে জানান যুবক হাবিবুর রহমান। প্রতিদিন কারো না কারো বাড়ি থেকে সাপ বের হচ্ছে। গত দুইদিনে সরেয়ারতল বাজার সংলগ্নে মনোয়ার ও আনোয়ারের বাড়ি থেকে সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। নগরীর আরাজী তামপাট, সরেয়ারতল বাজার, বড় রংপুর, কাইদাহারা, নগর মীরগঞ্জ, দোলাপাড়া, মেকুড়া, হোসেন নগর, বকচি, দর্শনা এলাকার শেখপাড়া, বনগ্রাম, পানবাড়ি, ঘাঘটপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সাপ নিধন বা সাপের উপদ্রব কমানোর জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ৩২নং ওয়ার্ডের আরাজী তামপাট এলাকার আশরাফুল ও হুমায়ন রশিদ বলেন, সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। এক যুবক মারা গেছে। কয়েকটি সাপ মেরে ফেলেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রংপুর আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সচিব রসিদুস সুলতান বাবলু বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত এলাকাগুলোতে সাপের এমন উপদ্রব উদ্বেগের। ইতোমধ্যে সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শিশু-কিশোর কেউই নিরাপদ নয়। বর্ধিত এলাকাগুলোতে খাল-পুকুরের পাশাপাশি কোথাও কোথাও ঘাঘট নদ ছড়িয়ে থাকায় উজার থেকে বন্যার পানিতে এসব সাপ ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতিতে সতর্কতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই।
বিরামপুরে ধান কাটতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে গুরুত্বর জখম
এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলায় সহোদর ভাইয়ের হাতে ভাই রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি। উক্ত ঘটনা...