এনসিটিবি ইস্যুতে সৃষ্ট নানা বিতর্কে জড়িত রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের কোনরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ২০২৩ সালে জনাব জাহাঙ্গীর কবীর প্রধান সমন্বয়ক থাকাকালে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এক পর্যায়ে তার পক্ষের কয়েকজনের চাপ প্রয়োগের কারণে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তিনি মাত্র ৪ দিনের মাথায় জোরপুর্বক সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক হোন। যদিও সে সময় অনেক সদস্যই তার আহবায়ক হওয়ায় আপত্তি জানিয়েছিল , তবে ২৪ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত তিনি কমিটির দায়িত্বে ছিলেন এবং ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবীর, যুগ্ম আহবায়ক জনাব কাজী সাইফুল হক পনির ও মোঃ আল-আমিন হোসনে ২৮ নভেম্বর-২০২৩ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ভয়ে পলাতক থাকায় কমিটি কার্যত ডিসফাংশন হয়ে যায় । পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে প্রধান সমন্বয়ক ও যুগ্ম আহবায়ক জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলে সর্বসম্মতিক্রমে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক কমিট বাতিল করে দেয়া হয় এবং চার সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক বোর্ডের কাছে দায়িত্ব অর্পিত হয় ।
২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাখাল রাহা সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহবায়কের পরিচয় ব্যবহার করে তৎকালীন নব নিযুক্ত শিক্ষা উপদেষ্টা জনাব ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন যা সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন অথরিটি জ্ঞাত নয় । রাখাল রাহা শিক্ষা আন্দোলনের প্রধান স্টেক হোল্ডার দাবি করে শিক্ষা উপদেষ্টার সুপারিশে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব নিযুক্ত হোন। পরিমার্জন কমিটির দায়িত্ব পালনকালে তিনি টেক্সবুকে আদিবাসী গ্রাফিতিসহ জাতীয় সঙ্গীত বইয়ের পিছনে ছাপার সুপারিশ করে স্বাক্ষর দেন, যা নানা বিতর্কের জন্ম দেয়। এক পর্যায়ে আদিবাসী ইস্যুতে কয়েকটি সংগঠন আন্দোলনের ঘোষণা দিলে তা সহিংস রূপ নেয় । গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এ ধরনের সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয় মর্মে সে সময় সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
সম্প্রতি রাখাল রাহা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন একটি বিবৃতি দিয়েছেন যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হীত। এর বাইরে রাখাল রাহা এনসিটিবিতে একছত্র বলয় তৈরি করে এনসিটিবির টেন্ডার ও বই মুদ্রণ দুর্নীতির সাথেও জড়িয়েছেন যা দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় উঠে এসেছে । আমরা মনে করি, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয় এবং সকল অপরাধের বিচারের দায়িত্ব আদালতের। আমরা এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সঠিক তদন্তের আহবান জানাই।
অনেকেই মনে করছেন রাখাল রাহা সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এমতাবস্থায় সবার জ্ঞাতার্থে আমরা স্পষ্ট করছি যে, রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের কোনরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই এবং রাখাল রাহার ব্যক্তিগত কোন কর্মকাণ্ডের দায়ভার সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন নিবেনা।