রাজনৈতিক অঙ্গনে জোকারের আবির্ভাব    !

 

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী-১ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক জোকারের আর্বিভাব ঘটেছে বলে মনে করছে তৃণমুল। স্থানীয়রা বলছে, দেশে নির্বাচনের মৌসুম এলেই এখানে মৌসুমী পাখির মতো রাতারাতি মৌসুমী  প্রার্থীর আর্বিভাব ঘটে, যা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে শুধুমাত্র বিনোদন দেয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি, দেশে সাধারণ নির্বাচন আসতে ঢের বাকি। অথচ এখানোই ডজন খানেক কথিত মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার সেঁটে আলোচনায় আসতে মরিয়া। কিন্ত্ত এমপি তো পরের কথা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হবার মতো জনসমর্থন বা সক্ষমতা নাই। তবে এমপির খোয়াব দেখতে উপনেতা-পাতিনেতা, বগীনেতা হুঁকি কেউ আর বাদ নাই। অন্যদিকেএমপিদের নিদ্রিষ্ট এলাকা থাকে। কিন্ত্ত এদের কোনো নিদ্রিষ্ট এলাকা নাই। এরা বাঙাবাড়ী-চৌডালা,মিড়ক্যামারী-জ্যামরা-কুঁপ্যাকুঁড়ি থেকে শুরু করে কাপাসিয়া পর্যন্ত এদের প্যানা-পোষ্টার চোখে পড়বে।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এমপি নির্বাচন করতে গেলে একজন প্রার্থীর যে ধরণের আর্থিক স্বচ্ছলতা, পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক মর্যাদা, রাজনৈতিক দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রয়োজন তা তাদের নাই। তবে ইতমধ্যে তারা দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। অথচ রাজশাহী-১ সংসদীয় আসন আয়তনের দিক দিয়ে দেশের ৮ম বড় আসন। বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দুর্গম ও প্রত্যন্ত পল্লী নিয়ে গঠিত। বৃহত্তর এই এলাকার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে কমপক্ষে ১০ বছর সময় প্রয়োজন। তাহলে হঠাৎ কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসে মনোনয়নের স্বপ্ন দেখে কি বিবেচনায় এরা তো রাজনৈতিক অর্বাচীন এমনটি মনে করছে আমজনতা।

স্থানীয়রা একটি রাজনৈতিক দলের নরসুন্দর নির্ভর মাহাঙ্কাল, বগী স্টার ও কথিত শতবর্ষী-তিনপ্রজন্ম, দাতা হাতেম ইত্যাদি বিশেষনে ভূষিত একশ্রেণীর নেতাকে রাজনৈতিক জোকার হিসেবে অ্যাঙ্খায়িত করেছে। যাত্রা-সার্কাসে ছোট-বড় ও নারী-পুরুষের যেমন জোকার জুটি থাকে রাজনীতিতেও তারা ছোট-বড় নারী-পুরুষ মিলে জোকার জুটি গড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিনোদন দিচ্ছে। রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে এরা এখন রাজনৈতিক জোকারে পরিণত হয়েছে, যাত্রা-সার্কাসে জোকার যেমন দর্শকের বিনোদনের জন্য প্রতি মুহুর্তে রঙ বদলায় এরাও তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রঙে নানা ঢঙে নেতাকর্মীদের বিনোদনের খোরাক হয়েছে। কেউ কেউ বলছে, অবৈধ অর্থলিপ্সায় এরা নৌকা থেকে নেমে তালগাছ, নারিকেল গাছ, হাতুড়, কুড়াল, জগ, বদনা, হুকা, ধুতরাফুল হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ফের নৌকায় উঠতে গেলে আমজনতা গণধাওয়া দিয়েছে। অথচ যেখানে পাওনাদারের ভয়ে এলাকায় দু-দশজন নেতাকর্মী নিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে চা পান করার ক্ষমতা রাখে না। সেখানে এমপি হবার খোয়াব দেখে প্রচারণা  ও প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীর কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদের একজন ইরানী ও কামরুককামাক্ষার জটা বাবার পাথর অপরজন কথিত কেন্দ্র নেতার সাগরেত পরিচয়ে এসব করেছে। এমপি খোয়াব দেখে ঘটি-বাটি হারিয়ে দেওলিয়া হয়ে এবার তারা পাপিয়াদের ওপর ভর করেছে।#

Exit mobile version