রাজশাহী: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্যালটপেপার ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ভোটগ্রহণের সব সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে। তবে প্রতীক চূড়ান্ত হওয়ার পর আসবে ব্যালটপেপার।
এরই মধ্যে ৫০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এসেছে। ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষও চূড়ান্ত হয়েছে। এই বিভাগের ৩৯টি সংসদীয় আসনে ভোটার বেড়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৫১ জন। ফলে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ভোটার ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪০ জনে। ২০১৮সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৯ জন।
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগে মোট ৫ হাজার ৪৩৬টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ থাকছে ৩৪ হাজার ৫৯টি। ২০১৮সালের নির্বাচনে ভোটকক্ষ ছিল ২৭ হাজার ৬৪৪টি।
রাজশাহী জেলায় ছয়টি নির্বাচনি আসনে মোট ভোটার ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ জন, সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনের ভোটার ২৫ লাখ ১৪ হাজার ১৩৪ জন, পাবনার পাঁচটি আসনে ভোটার ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬০ জন ও বগুড়ার সাতটি আসনে ভোটার ২৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২০ জন।
এছাড়া জয়পুরহাটের দুইটি আসনে ভোটার ৭ লাখ ৭৯ হাজার ২২০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ভোটার ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৩ জন, নওগাঁর ছয়টি আসনে ভোটার ২২ লাখ ২১ হাজার ৯০৮ জন এবং নাটোরের চারটি আসনে ভোটার ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৪ জন। জাতীয় নির্বাচনে যে জনবলের প্রয়োজন তার খানিকটা ঘাটতি রয়েছে। এবারের নির্বাচনে এ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন বা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের কোনো নির্দেশনা নেই। নতুন ভোটারদের সবাই তরুণ। এবার প্রথম তারা ভোট দেয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমন কি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সও এসে গেছে। বাকি প্রস্তুতিও জোরেশোরেই চলছে।
এদিকে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা প্রদান ও প্রত্যাহার করতে পারবেন। অনলাইনেও মনোনয়ন দাখিল করা যাবে।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো মহল যাতে নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সজাগ আছেন তারা। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত মোট পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৭০ শতাংশই ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকবে।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেজন্য প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। ভোটারদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের।