আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনিতিতে যাকে সবাই সিংহ পুরুষ বা বিগ বস্ হিসেবেই চেনেন। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার অনেক আগেই তিনি অর্জন করেন সিআইপি মর্যাদা, হয়েছেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রয়েছে বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, সামাজিক পরিচিতি ও পারিবারিক ঐতিহ্য । হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক। তিনি অনেক আগেই আদর্শিক, কর্মী-জনবান্ধব, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি ও গণমানুষের নেতার স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সব প্রটৌকল ভেঙ্গে একক ক্ষমতা বলে আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছেন। তিনিই একমাত্র নেতৃত্ব দলের সভাপতির হাত ধরে যার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ।
ফারুক চৌধুরীকে রাজনীতিতে নিয়ে এসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬ বার দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, একবার প্রতিমন্ত্রী এবং জেলার সভাপতি ও সম্পাদক করেছেন। একজন নেতা বা কর্মীর প্রতি কতটা আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা থাকলেই কেবল একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতি কাউকে এভাবে সম্মানিত করেন সেটার গভীরতা অনুধাবন করতে হবে। কিন্ত্ত এমপি ফারুকবিরোধী রাজনৈতিক অর্বাচীনদের সেই সম্পর্কে কোনো ধারনা বা জ্ঞান নাই। আবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বৃক্ষরোপণে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌচ্ছাতে চাই, সেখান থেকে নেমে ফারুক চৌধুরীর রাজনীতি শুরু। ফলে রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় ফারুক চৌধুরীদের মতো নেতৃত্বকে হারানো যায় না, তবে দল, নেতা, নেতৃত্ব সর্বপোরী নিজের অবস্থান ধরে রেখে দলের আগাছা-পরগাছা ছুড়ে ফেলে দলের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে কখানে কখানো তারা হেরে গিয়ে বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করে। তাদের এই হারে পরাজয়ের গ্লানি নয় থাকে বিজয়ের আনন্দ রাজনীতি সব সময় বিজয়ী নয় হেরে গিয়ে বিজয়ের স্বাদ নিতে হয়। তাই ফারুক চৌধুরীদের মতো নেতৃত্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতার নামে বিরোধ নয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে এবং তাদের কাছে থেকে ঠান্ডা ঘরের রাজনীতি ও শিখতে হয় রাজনৈতিক কলাকৌশল। আর যাদের এসব বোঝার ক্ষমতা নাই তারাই রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে অতল গহবরে হারিয়ে যায়। স্মার্ট বাংলাদেশে এখন মাঠে-ঘাটে বগী আওয়াজ বা ভাড়া করা লোক দিয়ে সমাবেশ করে রাজনীতি হয় না ,এখন ঠান্ডা ঘরে বসে গরম কফির কাপে চুমুক ও টেলিভিশনের পর্দায় ফর্মুলাওয়ান ওযান দেখতে দেখতে রাজনীতি হয়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং কোনো লোভ-লালসার মোহে গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও এই অঞ্চলের মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। তাকে মন্ত্রী সভায় দেখতে চাই এই অঞ্চলের মানুষ এটা এসব মানুষের প্রাণের দাবি। #
Post Views: 112
Like this:
Like Loading...
Related