আলিফ হোসেন,তানোরঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। গত
শনিবার সকালে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের প্রথম মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই মনোনয়নপত্র উত্তোলন শুরু করেছে সারা দেশের দলীয় মনোনয়ন প্রতাশীরা। আওয়ামী লীগের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ঢল দেখা যায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ঘিরে।
এদিকে, মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের বর্তমান সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।গত রোববার দুপুরে ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাপ্রমুখগণ মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন।
এদিকে একই আসনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন। আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া, দেওপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তার, মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ও এ্যাডঃ আবুল কাশেম। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী একটানা তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ এবং আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব।
অন্যদিকে আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া ও এ্যাডঃ আবুল কাশেম নতুন মুখ। নির্বাচনী এলাকায় তাদের তেমন কোনো পরিচিতি নাই, নাই তেমন কোনো জনসম্পৃক্তা ও কর্মীবাহিনী।এমনকি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতাও তাদের সঙ্গে নাই কখানো চোখে পড়েনি।
এদিকে দেওপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আখতার ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।এতে তার জনসমর্থন ও জনপ্রিয়তা কতটুকু সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
অপরদিকে মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী দুইবার আওয়ামী লীগের দলীয মনোনয়নে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির দুর্বল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় ও সাধারণ নির্বাচনগুলোতে নৌকাবিরোধী অবস্থানের কারণে উপজেলা সভাপতির পদ হারিয়ে রাজনীতিতে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েন। এরই ফলশ্রুতিতে মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে তিনি মেয়র পদে
প্রার্থী হবার সাহস পাননি পরাজিত হবার আশঙ্কায়।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এসব বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের কাছে মনে হয়েছে। ফারুক চৌধুরীর মতো আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব বঞ্চিত করে এদের মতো নতুন নেতৃত্বকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ঝুঁকি নিবে না আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব,স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধুরী তার দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের রাজনৈতিক জীবনে তানোর-গোদাগাড়ী থেকে তিনি প্রতিদিন যদি ৫ জন মানুষের উপকার করে থাকেন, তাহলে ৩৬৫ দিনে ১৮২৫ জন এবং ২০ বছরে ৩৬ হাজার ৫০০ জন মানুষের উপকার করেছেন। তাহলে উপকারভোগী এই মানুষগুলো তো এখানো এমপির পক্ষে মাঠে রয়েছে। এমপির জন্য জীবন বাজি রেখে তারা কাজ করতে প্রস্তুত আছে। তাহলে এমন পরিক্ষিত ও আদর্শিক নেতৃত্ব বঞ্চিত করে কেনো নতুন নেতৃত্ব দিয়ে দল ঝুঁকি নিবেন।#
Post Views: 131
Like this:
Like Loading...
Related