রাজনীতি যদি মানুষের জন্য হয়,তাহলে দল তার নিজস্ব গতিতে চলবে উন্নয়নের জন্য। ক্ষমতার জন্য নয়।
রাষ্ট্রপতি হবেন সেনাবাহিনীর প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন জনগনের ভোটে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হরতাল মুক্ত রাখার কাজ রাষ্ট্রপতির।
আন্দোলন যদি জনগনের স্বার্থে হয় তাহলে রাজনৈতিক দলের জন সেবক হবেন রাষ্ট্রপতি। যদি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মোহ বা লোভ পরিলক্ষিত হয এবং দেশকে জ্বালাও পোড়াও ধ্বংস করবে দল তাহলে ছত্রভঙ্গ করে দিবেন দলকে রাষ্ট্রপতি। দেশ ও দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষা করবেন প্রশাসন। দলের জন্য নয়,দেশের জন্য। দল তো লুটেপুটে খাবে।
কোন দল রাষ্ট্রের কাছে আপন না,সব দল একই মনে করবে রাষ্ট্রের প্রধান ও পুলিশ প্রশাসন।
দলের ক্ষমতা বেশি প্রধানমন্ত্রী হয়,তাহলে রাষ্ট্রপতি হবে সোন সদস্য বা প্রশাসনের প্রধান।
কারন দল বড় না প্রশাসন বড় মনে করে বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক গবেষক জাকির সিকদার।
রাজনীতি গবেষণা করে দেখা যাচ্ছে দল হবে সেবক আর রাষ্ট্রপতি হবে দেশ বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করা ও দলের দূর্নীতিবাজদের পাকরাওনকরা।
দলের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি এক নয। রাষ্ট্রের পতি যিনি তিনি জাতীয় সম্পদের মালিক।
আর রাষ্ট্রের সম্পদ ব্যবহার করে দেশ উন্নয়ন করবে দলের প্রধানমন্ত্রী।
এখানে বিগত ৫০ বছরের রাজনীতির নীতিগত লক্ষ দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতিকে দাবিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কবচে রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের মালিক আলাদা সম্পর্ক থাকা দরকার।
জনগনের নেতা দলের প্রধান এবং দেশ ও জাতীয় সম্পদের মালিক রাষ্ট্র।
এখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পদ দুইভাবে দামী।
দলের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাষ্ট্রপতি কোন পথে হাঁটছ।
দল যে দিকে চলে রাষ্ট্রপতি সেদিকে ছাতার মত ছড়ায় মত থাকে।
রাষ্ট্রপতি হবেন সকল দল ও জনগনের সেবক বা কঠোর মনোভাবের অধীকারী।
হরন করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব।
বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি মনে করেন,দেশের রাষ্ট্র পরিচালক জাতীয় সম্পদ রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
রাষ্ট্র পরিচালক রাষ্ট্রপতি,জনগন পরিচালক প্রধানমন্ত্রী হবেন।
দুটি পদের তফাত দরকার। দুটি পদ এক নয়।দর চাইলেই রাষ্ট্রপতি বানাতে পারেনা। তিন বাহিনীর প্রধান নির্বাচন করবেন রাষ্ট্রপতি। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করবে প্রধানমন্ত্রী।
এভাবে দেশ পরিচালিত হলে দূর্নীতি কমে আসবে,দলীয নেতার চাপ কমে আসবে।গড়ম ভাব কমবে দলের।দল তো রাষ্ট্রের চাপে থাকবে।
দলের চাপে রাষ্ট্রপতি থাকবেনা।
রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন। নির্বাচন সুষ্ঠ করবেন কমিশনার।
সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করবেন রাষ্ট্রপতি। এখানে তিন বাহিনীর প্রধান রাষ্ট্রপতি বানালে দলের সব ক্ষমতা কমে আসবে। গদীর জন্য আন্দোলন করা পারবেনা।
দলের মেয়াদ শেষ হলেই রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা নিবে এবং নির্বাচন নিবে সব দলের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে।
লেখক সাংবাদিক গবেষক জাকির সিকদার
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি।
কেন্দ্রীয় কমিটি,ঢাকা।