‘রিক্সাওয়ালা জানালেন আজ পাঁচ কেজি চাল, দু’কেজি ডালের একটা ত্রাণ প্যাক পেয়েছিলেন, তিনি তা নেন নি।

কেনো নেন নি?
শোনেন, ঘরে আমার এখনো দশ কেজি আছে, বাপ-বেটির আরো দশ দিন যাবে। আমি যদি নেই তো যার ঘরে নাই তার কী হবে!

এমন বিবেকবান রিক্সাওয়ালা!
হ্যাঁ!

তার কারণ তিনি স্ব-শিক্ষিত! তার একমাত্র কন্যা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছে। মেয়ের বয়স যখন ৬/৭ তখন তার স্ত্রী মারা যায়। মেয়েকে বুকে আগলে রেখে মায়ের স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। মেয়ের অমর্যাদা হবে ভেবে উত্তরা থেকে এসে তেজগাঁও-মগবাজার এলাকায় রিক্সা চালান। এখনো নিজে রান্না করে মেয়েকে খাইয়ে কাজের জন্য চলে আসেন।

এমন বাবার প্রতি শ্রদ্ধা তো রাখাই যায়!
কাজ ছোট হলেই মানুষ ছোট হয় না। ❤️

Exit mobile version