র‌্যাব-৭, ফেনী থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ তিনজন আটক।

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের অভিযানে ফেনী থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ তিনজন চোরাকারবারী আটক।https://youtu.be/ZyMOCK8vrbE

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় চোরাকারবারী সীমান্তবর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের চোরাইকৃত ভারতীয় কাপড় একটি কাভার্ডভ্যান যোগে বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া হতে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার দিকে নিয়া যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ ০৭৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন লালপুল এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় একটি কাভার্ডভ্যানকে থামানোর সংকেত দিলে উক্ত গাড়ীটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা উক্ত গাড়ীটিসহ আসামী ১। মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (৩০), পিতা- আঃ মালেক, সাং- পূর্ব ছাগলনাইয়া, ২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা- আবুল বাশার, সাং- পূর্ব মধুগ্রাম, উভয় থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনী এবং ৩। শাহ আলম পাটোয়ারী (২৭), পিতা- মৃত মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী, সাং- বড়ডলু, থানা- মানিকছড়ি, জেলা- খাগড়াছড়িকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানো ও সনাক্তমতে তাদের দখলে থাকা উক্ত কাভার্ডভ্যানের মালামাল বহন করার জায়গায় ২৫ টি চটের বস্তার ভিতর মোট চোরাইকৃত ১,৭৮৫ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয় এবং চোরাই মালামাল বহনে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।

৩। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে সীমান্তবর্তী দেশ ভারত হইতে অবৈধ উপায়ে চোরাইকৃত ভারতীয় শাড়ি সংগ্রহ পূর্বক ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত চোরাই কাপড়ের আনুমানিক মূল্য ৪৪ লক্ষ টাকা।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version