চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এবিষয়ে আহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করলে একজনকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ। অপরজন কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্ররণ করেন।
ঘটনাটি ১৩ এপ্রিল শনিবার রাত ৯ টায় উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিন ইউনিয়নের বেরনাইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির আবু তাহেরের পুত্র পারভেজের সাথে একই বাড়ির হানিফ মিয়ার নাতি সবুজের সাথে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। তারই জের ধরে ঘটনার দিন ও সময়ে মানিক ও শাওনকে চলাচলের রাস্তায় একাকি পেয়ে ওই গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে মুরাদ ও তার সঙ্গী সাথীদের হামলা করে। এতে উভয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে ওই গ্রামের তালুকদার বাড়ির ইয়াকুবের ছেলে মোঃ শাওন এগিয়ে আসলে তাকেও তারা বেদম প্রহার করে। আহত দুজনকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, মামলার ১নং বিবাদী মুরাদ ঘটনার দিন ও সময়ে তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে পূর্ব থেকে চলাচলের রাস্তায় ওঁত পেতে থাকাবস্থায় মামলার ১ ও ২নং স্বাক্ষীর উপর রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১নং বিবাদীর শক্ত কিছুর আঘাতে ১নং স্বাক্ষীর মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং স্বাক্ষী শাওনকেও তারা প্রতিবাদ করার দায়ে রাতের অন্ধকারে বেদম প্রহার করে। এতে দুজনই গুরুতর অসুস্থ হয়।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি সহ বাড়ি ফিরছিলাম। মুরাদ ও তার সাথে থাকা ছেলেগুলো আমার ডাক শুনতে চায়নি। তারা আমার ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে আমার ছেলে ও শাওনকে ইচ্ছা মত মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমি নিরুপায় হয়ে মামলা দায়ের করেছি। আইনের সহায়তা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এলাকাবাসী বলেন, এই গ্রামে ১৭/১৮ বছর বয়সের ছেলেগুলো মুরাদের কারনে দুষ্ট প্রকৃতির হয়ে যাচ্ছে। এরা এভাবে চলতে থাকলে কিশোর গ্যাংয়ে পরিনত হওয়ার আশংকা করছেন তারা। অনতিবিলম্বে এই কিশোরদের বেপরোয়া গতির প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে তারা এই সমাজে বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বলে তারা মনে করেন।