শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : ঢাবি উপাচার্য

মোঃ কামাল উদ্দিন লক্ষ্মীপুর জেলা স‌ংবাদাতা: প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। প্রতিকূলতা আমাদের সমাজে আছে, তবে তা অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। নারী শিক্ষার্থীরা যত বেশি অগ্রসর হবে, এই দেশ তত বেশি অগ্রসর হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন।

গতকাল রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রুপাচরা এলাকার জনতা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে করে অতিরিক্ত রাজনীতি না হয়। আগে পড়ালেখা, তারপর রাজনীতি। সর্বোপরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, একজন শিক্ষক, তাকে যদি সম্মানিত করা হয় তাহলে দেশ ও রাষ্ট্রকেও সম্মানিত করা হয়। অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীরের হাত ধরে জনতা ডিগ্রি কলেজ আজ সমৃদ্ধ। আমাদেরকে এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই জনতা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের কর্ম সার্থকতা পাবে।

অনুষ্ঠানে জনতা ডিগ্রি কলেজের আজীবন দাতা সদস্য ব্যারিস্টার শারমিন তাবাসসুম মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাঈন উদ্দিন পাঠান, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুর রহমান, জনতা ডিগ্রি কলেজের হিতৈষী সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, চরশাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রাজু, জনতা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ বেল্লাল হোসেন।

কলেজের প্রভাষক রাফি নাহিদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাদের, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও  অভিভাবকবৃন্দ।

Exit mobile version