রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: রেলপথে কঠিন শিলা (গ্রানাইট পাথর) ও কয়লা পরিবহন ছাড়াও রাজস্ব আয়ের বিষয়টি মাথায় নিয়ে ভবানীপুর থেকে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি ও ভবানীপুর থেকে পার্বতীপুর জংশন পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপন রেল কর্তৃপক্ষ। ১৯৯০ সালের দিকে নির্মিত এ রেলপথ এখন স¤পূর্ণ অকেজো ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জানা যায়, রেললাইন স্থাপনের কাজ সমাপ্ত করে ২০০৫ সালে রেল কর্তৃপক্ষ তা খনি কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে। তখন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রেলপথে কঠিন শিলা পরিবহন হয়েছে। এর পরে পাথর পরিমাপ স্কেল নষ্ট হলে বন্ধ হয়ে যায় পাথর পরিবহন। সেই সঙ্গে ভেস্তে গেছে রেলপথে কঠিন শিলা ও কয়লা পরিবহনের উদ্যোগ। রেলপথে পাথর পরিবহন বন্ধের ফলে রেল ও খনি কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষের নিটক থেকে সদুত্তর মিলেনি। সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ এ রেলপথ অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকায় রেললাইনের ফিস প্লেটসহ অনান্য উপকরণ চুরি ও লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামো ও রেললাইন সংলগ্ন জমি স্থানীয় ভূমিদস্যুরা কব্জায় নিয়েছে। পরিত্যক্ত থাকায় এ রেলভূমির উপর উদ্বাস্তুদের বাড়িঘর নির্মিত হয়েছে। উজাড় হয়েছে রেলভূমির গাছপালা। অবস্থা যা হয়েছে, তাতে আর কিছুদিন গেলে এ রেলপথের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। খনির ও রেলওয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, খনির সীমানায় রেলপথের দায়িত্ব খনি ও তার বাইরের অংশের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের। তবে কার অবহেলা ও দায়িত্বহীনতায় কোটি টাকার স¤পদ চোখের সামনে হারিয়ে যাচ্ছে। তার দায় কে নিবে? রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত পার্বতীপুরের পি ডাবলু আই আল আমিন বলেন, এ রেলপথ অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রতিনিয়তিই চুরির ঘটনা ঘটছে। তার দপ্তরের যে ক’জন লোক রয়েছে, তা দিয়ে তো এ দীর্ঘ রেলপথ পাহারা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়। রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলের চাহিদা দিয়ে দেড় বছর ধরে চিঠিপত্র দিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ ডি এম ফরিদুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে প্রতিবারই ব্যস্ততার অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন। পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গ্রানাইট পাথর ও কয়লা পরিবহন চালু থাকলে রেলপথের এ অবস্থা হতো না। এর নানাবিধ কারণ রয়েছে। বিভিন্ন কারণে মধ্যপাড়ার গ্রানাইট পাথরের চেয়ে ভারতীয় পাথরের প্রতি ঠিকাদারদের আগ্রহ বেশি। সে কারণে এ পাথর ক্রয়ে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জনবল সংকট অচিরেই কেটে উঠতে আমারা সক্ষম হব। ইতোমধ্যে ১৮৭ স্টেশন মাস্টার, ৩১৮ পয়েন্টস ম্যান ও ৫শত খালাসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওয়েম্যান নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এসব নেওয়া হলে মধ্যপাড়ার রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা কেটে যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানা যায়, নতুন করে এ পরিত্যক্ত রেলপথটি সংস্কার করতে আবারও বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হবে।
শিলা ও কয়লা পরিবহণের জন্য স্থাপন করা রেল লাইন ব্যবহার হচ্ছে না
-
by admin
Related Content
ফরহাদ মজহার বিএনপির অনেক নেতা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি
by admin মার্চ ১৫, ২০২৫
সৌদিতে ২৯ রমজানে ঈদের চাঁদ উঠবে, আকাশে থাকবে ৮ মিনিট
by admin মার্চ ১৫, ২০২৫
৩৬ লাখ টাকাসহ এলজিইডি প্রকৌশলী আটক
by admin মার্চ ১৪, ২০২৫
জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান, মিয়ানমারই তাদের মাতৃভূমি
by admin মার্চ ১৪, ২০২৫
লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
by admin মার্চ ১৪, ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা সংক্ষিপ্ত সংস্কার হলে ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে নির্বাচন
by admin মার্চ ১৪, ২০২৫