শুধু সংলাপ নয়- নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে দাবি টিআইবির

জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২০ ডিসেম্বর ২০২১: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদপূর্তির পূর্বেই নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করেছেন তা গুরুত্বপূর্ণতবে যথেষ্ট নয়। শুধু সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন পদ্ধতিতে ইতোপূর্বে কাঙ্খিত ইতিবাচক ফল আসেনি। তাই নির্দলীয়সৎ  গ্রহণযোগ্য ইসি নিয়োগে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করতে হবে। 

আজ এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গণমাধ্যমসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে আমরা জেনেছি যেনতুন ইসি গঠনে আজ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেনতা নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের তেমন কোনও তাগিদ বা উচ্ছ্বাস নেই। দলগুলোর নীতিনির্ধারকরাও মনে করছেন না যেএই সংলাপে ইসি গঠনে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব কিংবা নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন বিষয়ে ইতিবাচক কোনও আলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করেঅতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই ধরণের সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি করে গঠিত ইসি জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চূড়ান্তরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা মনে করিএই সংলাপের ফল যাই হোক না কেনমহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি সকলের প্রত্যাশা-  দেশের আপামর জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীননিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনে অবিলম্বে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া।” 

ইসি গঠনে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে নির্বাহী পরিচালক বলেন, “২০১২ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপের পর গঠিত দুটি নির্বাচন কমিশনই ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হলেওতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কিন্তু একটি প্রকৃত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন এবং সেই আইন অনুযায়ী ইসি নিয়োগের বিকল্প নেই। যাতে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব এমন ব্যক্তিবর্গের হাতে অর্পিত হয় যারা নির্দলীয়সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সৎসাহসের অধিকারী হবেন। এবং যার ফলে সত্যিকারের নির্দলীয়সৎনিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের ‘নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের স্বাধীনতা’ প্রয়োগের অধিকার এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের অবাধ ও নিরাপদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার অধিকার অর্জিত হয়।”  

নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ডে ইসিআইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের সুষ্ঠুনিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ভূমিকা নিশ্চিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবারই নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবেন- প্রত্যাশা টিআইবির। পাশাপাশিজাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনসমূহ পর্যবেক্ষনের জন্য শুধু নির্বাচনের দিনেই নয়বরং মনোনয়ন জমা দেয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে স্বাধীন ও নির্দলীয়জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মুক্ত ও অবাধ উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবিও জানায় সংস্থাটি। 

 

Exit mobile version