শ্রমজীবী মানুষ ও দেশবাসীকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

দেশে-প্রবাসে অবস্থানরত সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ ও দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

আজ এক শুভেচ্ছা বাণীতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের মাস রমজান শেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ বান্দাহদের জন্য উপহার স্বরূপ দিন হলো ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ-উৎসব। সকল দুঃখ কষ্ট ও ধনী-গরিবের সীমারেখা ভুলে গিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার দিন হলো ঈদুল ফিতর। বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য অপরিসীম। মূলত রমজানের শাশ^ত শিক্ষা ও অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জিত গুণাবলির বিকাশ সাধনের শুরু হয় ঈদের মাধ্যমে।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমজীবী। বছরের পুরোটা সময় এ বিশাল জনগোষ্ঠী দুঃখ-কষ্টকে সঙ্গী করে অতিবাহিত করে। তাদের ঘরে আনন্দ উৎসব বলতে কোনো শব্দ নেই। পবিত্র ঈদের দিনও অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ঈদের আনন্দ ধরা দেয় না। মূলত ধনী-গরিবের সীমাহীন ব্যবধান ও পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কুফল শ্রমজীবী মানুষদের দুঃখের সীমা বাড়িয়েছে। রমজানের অর্জিত শিক্ষাকে ধারণ করে শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে মালিক শ্রেণি ও সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষত যে সকল শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষরা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাদের ঘরে ঈদের আনন্দ পৌঁছে দিতে হবে। শ্রমিকরা যেন ঈদের দিন একটু ভালো খাবার রান্না করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিক ও তার পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন পোশাক উপহার দিতে হবে। প্রকৃত সুখ ও শান্তি পেতে হলে ধনী-গরিবের সীমারেখা ভুলে যেতে হবে। ঈদের আনন্দ মালিক-শ্রমিকের মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে হবে।

তারা আরও বলেন, ঈদের এই খুশির সময় শ্রমজীবী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আ ন ম শামসুল ইসলাম (সাবেক এমপি) ও সাবেক সভাপতি মিয়া গোলাম পরওয়ার (সাবেক এমপি), কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমাদসহ অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে আটক রয়েছে। এটি আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। আমরা সরকারের কাছে পুনরায় আহ্বান জানাচ্ছি, সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। তাদেরকে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ দিন।

পরিশেষে নেতৃদ্বয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর পৃথিবীর সকল মুসলমানদের জীবনে অনাবিল সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। এ দিন থেকে বৈষম্য, জুলুম-নির্যাতনের অবসান হবে। সকল মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের অকৃত্রিম বন্ধন রচিত হবে। আমাদের মাঝে খোলাফায়ে রাশেদার সোনালী সময় ফিরে আসবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের উছিলায় আমাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করুন। আমাদেরকে তার প্রিয় বান্দাহদের কাতারে শামিল করুন। আমিন।

Exit mobile version