মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শান্তিনিকেতনে তখন ক্লাস থ্রি তে পড়তেন অর্নব এবং সাহানা বাজপেয়ী! তুখোড় বন্ধুত্ব তাঁদের দুজনের মধ্যে! ক্লাস ফোরে পড়া অবস্থাতেই অর্নবের প্রেমটা গড়ায় সাহানার প্রতি! যদিও মেয়েটা জানতোনা সেটা। একদিন অর্নব হুট করে সাহানার এক বন্ধুকে বলে বসলো, “বড় হলে আমি সাহানাকেই বিয়ে করবো”… জেনে ফেললো সাহানা! ক্লাস এইট-নাইনে উঠেই জমে গেলো তাঁদের প্রেম! একটা সময় বিয়েও করেন তারা! ছোটবেলার কথা রাখলেন অর্নব! সংসার চলতে থাকে! অতঃপর বিচ্ছেদ… অর্নব বললেন, ‘সাহানা তো আসলে আমার বন্ধু! আমরা একসঙ্গে শান্তিনিকেতনে ক্লাস থ্রি থেকে পড়েছি!
খুব অল্প বয়সে বিয়ে করি আমরা! সাত বছরের বিবাহিত জীবন! কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চাওয়া, পাওয়া তো পাল্টায়! সাহানা লন্ডনে পড়াশোনা করতে যায়! ও এখন বিবাহিত! কিন্তু আমরা পরস্পরের বন্ধুই আছি! দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ খুব অল্পবয়সে শুরু করেন লেখালেখি! তার লেখা দেখে তাকে ভালোবেসে ফেলেন গুলতেকিন! বিয়েও করে ফেলেন একটা সময়! হুমায়ুন আহমেদের পরিবারে প্রবেশ করার পর বুঝতে পারেন যে সব উলটো! তার লেখালেখির সাথে তার বাস্তব জীবনের কোনো মিল নেই! তিনি জ্যোৎস্না ভালোবাসেন না! চাঁদের আলো তাকে মন্ত্রের মতো মূগ্ধ করেনা।
অতঃপর বিচ্ছেদ! আরো একটা ভালোবাসার সমাপ্তি… সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে একবার হুমায়ুন ফরিদীর প্রচণ্ড ঝগড়া হলো! রাগ করে সুবর্ণা অন্য রুমে গিয়ে দরজা আটকে ঘুমিয়ে পড়লেন। সুবর্ণা সকালে দরজা খুলে দেখেন, যেই রুমে ঝগড়া হয়েছিল, সেই রুমের মেঝে থেকে ছাদের দেয়াল পর্যন্ত একটি কথাই লিখে পুরো রুমকে ভরে ফেলা হয়েছে।
“সুবর্ণা,আমি তোমাকে ভালোবাসি!” এত ভালোবাসাও তাদের বিচ্ছেদ ঠেকাতে পারেনি, ২০০৮ সালে ডিভোর্স হয়! কারণ ভালোবাসা রং বদলায়…! কি প্রেম ছিল তখন ফরিদী-সুবর্ণার! অনেকে বলে এই বিচ্ছেদই খুব একা করে দেয় ফরিদীকে। আর সেই একাকিত্ব জীবনই মৃত্যু ডেকে আনে ফরিদীর!
সত্যিই, ভালোবাসা আসলেই বড়ই কঠিন!!