বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
আজ ০৩ আগষ্ট’১৯, শনিবার, সকাল ১১ ঘটিকায়, জাতীয় প্রেসক্লাবে (৩য় তলায়) মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-হত্যা-গুম-গণপিটুনি ও অপহরণের প্রতিবাদে- “মানবাধিকার ও আইনের শাসনের চরম অবনতি : কোন পথে বাংলাদেশ” শীর্ষক আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে কিন্তু তিনি আসতে পারছেন না। তাহলে তিনি কঠিন অবস্থার মধ্যে আছেন। এর কারণে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে তিনি আসতে পারছেন না। শোনা যাচ্ছে, নানা রকম সমস্যা। আর চোখের আলোটা আমাদের প্রানমন্ত্রীর বেশি জরুরি। তাহলেইতো মানুষের চোখের দিকে তাকালে তাদের চোখের ভাষাটা কি, তা বুঝতে পারবেন।
তবে আমরা চাই, আল্লাহ উনার চোখ ভালো করুক। আল্লাহ তার চোখ, শরীর ও ভাবনাটা সুস্থ করুক। আর আল্লাাহ যেনো উনাকে মানুষকে ভালোবাসার তৌফিক দেন। কারণ আমরা কোনও মানুষের অমঙ্গল কামনা করি না।
গয়েশ্বর আরও বলেন, রাজনৈতিক নেত্রীর মুক্তি হয় রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের নেত্রী (বিএনপি চেয়ারপারসন খালোদা জিয়া) জেলখানায় যাওয়ার পরে আমরা এমন কোনও আন্দোলন করতে পারি নাই যে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। আর আন্দোলনের কোনও আওয়াজও আমরা আদালতে দিতে পারিনি। আর বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে জজদের ওপরে জনগণ ক্ষুব্ধ হবে। এই বার্তাও আমরা দেই নাই। এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশর দুর্নীতির আড্ডাখানা।
তিনি বলেন, গণপিটুনির আড়ালে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কি না? সে বিষয়টি সামনে আনতে হবে। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, এর সঙ্গে বিরোধী দলের হাত আছে। তার মানে কি? তার মানে, দেশকে চরম একটা অবস্থানের মধ্যে ফেলে দেয়া এবং কোনও একটা সময়ে তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে কেটে পড়ে কি না।
জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব খন্দকার মোঃ মহিউদ্দিন মাহির সঞ্চালনায় উক্ত জাতীয় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও নাগরিক ফোরামের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাসুদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধানমন্ডী থানার সভাপতি শেখ রবিউল আলম রবি, জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান এড. মোঃ আল-আমিন, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস.এম আবুল কালাম আজাদ, আজহার পাঠান প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম.সাইফুল ইসলাম মজুমদার, কে.জি সেলিম, জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ উল্ল্যাহ রকি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সহ-প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমেদ রাজ প্রমূখ।