সীতাকুন্ড ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাট হত্যাকান্ডের মূল আসামি মামুনসহ ২ জন গ্রেফতার

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিhttps://youtu.be/Ckgh5ZeAUlU

১। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস্য উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরনকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারন জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২। গত ৩১ ডিসেম¦র ২০১৮ খ্রিঃ তারিখে বিকাল ০৩.৪০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাটকে কতিপয় দুস্কৃতিকারী হত্যার উদ্দেশ্যে চোরা এবং কিরিচ দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে বুক, পেট এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মুমূর্ষু স¤্রাটকে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা জেবুন্নেসা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় ১৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ০১, তারিখ ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩০২/৫০৬(২)/৩৪, পেনাল কোড, জিআর নং ১/১৯।

৩। ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে উপরোক্ত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামি মোঃ মামুন এবং মোঃ নুর উদ্দিন বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থাকে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মামুন এবং মোঃ নুর উদ্দিন চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার ভুইয়াপাড়া এলাকায় অবস্থায় আছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মামুন প্রঃ ডাকাত মামুন (২২), পিতাঃ নুরুল মোস্তফা, সাং-বাতালিয়া, থানাঃ মিরশরাই, জেলাঃ চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ নুরুল হুদা (২৫), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, মাতা-সুফিয়া খাতুন, সাং-মধ্যম হাদেবপুর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীরা অকপটে স্বীকার করে যে, তারা স¤্রাট হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version