রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভপাতি জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় একই ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সামিউল ইসলাম সামুসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সোনারায় ইউনিয়ন যুবদলেন যুগ্ন আহবায়ক ও পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সামিউল ইসলাম সামু (৩৮) ও একই উপজেলার পূৃর্ব রামজীবন গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ও জামায়াতের সদস্য আনোয়ার হোসেন (৬০)। গত সোমবার রাতেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে গত রবিবার রাতেই পূর্ব শিবরাম গ্রামের মিজানুর রহমান (৩০), মোশাররফ হোসেন (২৫), মধ্য শিবরাম গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়া (৬৪) ও শিবরাম গ্রামের এছমোতারা বেগমকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, নিহত জাহিদুল ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সে যাদের নাম বলেছিলেন তাদের মধ্যে সামিউল ইসলাম সামু ও আনোয়ার হোসেন রয়েছে। গত রবিবার রাত ১১ টার জাহিদুল ইসলাম ও রাকিব মিয়া মোটরসাইকেলে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে উপজেলার বামনডাঙ্গা- সুন্দরগঞ্জ রাস্তার শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের পথরোধ করে জাহিদুল ইসলামকে এলোপাথাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। এসময় রাকিব মিয়া আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত সোমবার সকালে নিহতের বড় বোন আঞ্জুমান আরা বেগম বাদি হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, সামিউল ইসলাম ছামু ও আনোয়ার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।