সামনে আসতে শুরু করেছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের নানা অপকর্ম-অনিয়মের তথ্য। ক্ষমতার দাপট দেখানো এই আওয়ামী লীগ নেতার হাতে জিম্মি ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। শত শত একর খাস জমি দখলে রয়েছে হাছান মাহমুদের পরিবারের। যা এখন উদ্ধার হচ্ছে।
চট্টগ্রামের রাংগুনিয়ার খুরুশিয়া রেঞ্জে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদ বন বিভাগের প্রায় ২১২ একর জমি দখল করেন। ২০০৯ সাল থেকে একে একে গড়ে তোলেন মহিষের খামার, পুকুর, বাগান, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বড় ভাই বন ও পরিবেশ মন্ত্রী থাকা কালে সেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি এসব জমি দখলে নেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বন বিভাগ অভিযানে নেমে প্রায় ২০০ একর জমি উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কের পাশে একটি পার্ক সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁ ছিল। সেগুলোসহ ওই এলাকায় একটি পুকুরও ছিল। বন বিভাগ এসবই ভেঙে দিয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানে প্রায় পাঁচ একর জায়গা ছিল। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এত সম্পদ দখলে নিয়ে গিয়েছিল হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবার।
সাবেক মন্ত্রীর পরিবারের ভয়ে আগে কেউ মুখ খুলতেন না। এখন মানুষ তুলে ধরছেন তাঁর পরিবারের নানা অপকর্ম।
এলাকাবাসী বলছেন, সরকার থাকাকালীন কোনো সময় কেউ মুখ খোলেনি। অন্যায় দেখেও প্রতিবাদ করতে পারে নাই। কিন্তু এখন সরকার পতনের পর যে যার সমস্যা খুলে বলছে। কোনো চাপ নেই কারো ওপর। অন্যায় অবিচারের কথা সবাই এখন প্রকাশ করছে।
এদিকে এরশাদ মাহমুদ স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করেছেন, সরকার থেকে লিজ নিয়ে তিনি খামার করেছেন।