বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১, ১০:১৭ অপরাহ্ন
২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই আনামুলকে হারায় ঢাকা প্লাটুন। তবে এরপরই জাকের আলী ও মমিনুল হক শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ২৭ রানে জাকের ফিরলে ভাঙ্গে ৫২ রানের জুটি। এরপর লরি ইভান্স আউট হন ১৭ করে।
আসিফ আলী ও শহীদ আফ্রিদী কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুজন ফেরেন যথাক্রমে ১৫ ও ৯ রানে। এরপর মমিনুল ফেরেন ৫২ রান করে। ম্যাচটি ঢাকার হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন মাশরাফী। তার ৬ বলে ২৩ রানের ইনিংসেই মূলত জয়ের রাস্তায় চলে আসে ঢাকা। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা।
শেষ ওভারে ১ উইকেট হাতে রেখে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ২১ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন পেরেরা। প্রথম বলে ২ রান তিনি। বাকী বলগুলো থেকে আরো ২ রানের বেশি নিতে পারেননি এই লংকান ব্যাটসম্যান। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৪৭ রান।
শেষ বলে অল আউট হওয়া ঢাকা থেমে যায় ২০৫ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন মুক্তার আলী। এছাড়া নাসির হোসেন, কেসরিক উইলিয়ামস ও মেহেদী রানা দু’টি করে উইকেট নেন।
এর আগে সন্ধ্যায় টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফী। তবে তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতেই যেনো মাঠে নামেন দুই ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো ও লেন্ডল সিমন্স। দুজনের ব্যাটে পাঁচ ওভার না পেরোতেই আসে পঞ্চাশ রান। তবে এরপরই আভিস্কা ফেরেন ২৬ রানে।
উইকেট হারালেও আক্রমণের ধার কমেনি চট্টগ্রামের। এবার সিমন্স আর ইমরুল কায়েস মিলে ঝড় তোলেন। দুজন মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। তবে আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিমন্স। এর আগে ৫৭ রান করেন তিনি।
সিমন্সের জায়গায় নেমে তাকে ছাড়িয়ে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর আগে কায়েস ২৪ বলে ৪০ রান করে থামেন।
শেষদিকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের মিনি ক্যামিওতে ২২১ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। এই ক্যারিবিয়ান অপরাজিত ছিলে ২৭ রানে। ঢাকার হয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। একজনকে শিকার করেন সালাউদ্দিন শাকিল।
পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরো শক্ত করলো চট্টগ্রাম। চার ম্যাচে দুই জয়ে ঢাকার অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে।