৪৫ লটের নিলামের বিপরীতে ৭৯ দরপত্র

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৪৬ লটের পণ্য নিলামে তোলার পর একটি পণ্যের নিলাম স্থগিত করে বাকি ৪৫টি পণ্যের নিলামের আয়োজন করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এরমধ্যে ৪২ দশমিক ২৩ শতাংশ পণ্যে কোনো আগ্রহ দেখায়নি দরদাতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দর উঠেছে নন-হাইব্রিড এএমজি জি৬৩ মডেলের ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিস বেঞ্জের। তবে কাস্টমস নীতিমালায় গাড়িটি এবারও নিলামে বিক্রি না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নিলামে বিভিন্ন ফেব্রিকস, ছবির অ্যালবামের ক্যাটালগ, লুবরিক্যান্টসহ একটি নন-হাইব্রিড এএমজি জি৬৩ মডেলের ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিস বেঞ্জ গাড়ি তোলা হয়। এতে ১৯ লট পণ্যে কোনো আগ্রহ দেখায়নি দরদাতারা। বাকি ২৬ লটের বিপরীতে মোট ৭৯টি দরপত্র পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আব্দুল ওয়াহেদ, এশিয়ান ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং ‍এ কে এম নিট ওয়্যার লিমিটেড দর ফেলেছে যথাক্রমে ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ৬ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার এবং ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। তবে গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য রাখা হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা।এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাস্টমস নীতিমালায় নিলামে কোনো পণ্য কিনতে দরদাতাদের ৬০ শতাংশ দর দিতে হয়। এবার যে গাড়িটি নিলামে তোলা হয়েছিল সেটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪ শতাংশের মতো। গতবারও এ গাড়িটির জন্য চারটি দরপত্র পড়েছিল। তাদের দর কম থাকায় গাড়িটি পুনরায় নিলামে তোলা হয়েছে। দুইবারের নিলামেই এ কে এম নিট ওয়্যার লিমিটেড গাড়িটি নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে দুইবারই তাদের দর কম ছিল।

নিলামের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের নিলামে ৪৫ লটের মধ্যে ২৬ লটের বিপরীতে দরপত্র পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে অন্যতম লট মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে। পর্যালোচনা স্বাপেক্ষে সর্বোচ্চ দরদাতাদের কারা কোন পণ্য পাবে, তা নিলাম শাখা নির্ধারণ করবে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা পণ্যের নিলাম ও খালাস নিষ্পত্তিতে ডেডিকেটেড একজন অফিসার দিয়েছেন। আগামী দুইমাসের মধ্যেই নিলামের গতি আরও অনেক বাড়বে।’

Exit mobile version