৪ বছর রিলেশনের পর যখন জানলাম সে কখনোই মা হতে পারবে না। তবুও তার হাত ছাড়িনি। পুরো পরিবারের বিপক্ষে যেয়ে বিয়ে করছিলাম। কারন তাকে যথেষ্ট পরিমাণ ভালোবাসতম যেটা বুঝানোর মতো ভাষা নেই। সংসারও তিন বছর রানিং ছিলো আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক সুখে ছিলাম। সারারাত অফিস করে সকালে বাসায় ফিরে নাস্তা রেডি করে তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নাস্তা করিয়ে একসাথে ঘুমাতাম। বিয়ের তিন বছরের মধ্যে আমার মনে হয় না সে কখনো নিজ হাতে খাবার খেয়েছে। আমিই তাকে খাইয়ে দিতাম তিনবেলা। স্বামী হিসাবে আমার মনে হয় না আমি তার কোন চাওয়া পাওয়ার অপূর্ণতা রেখেছিলাম। তার মুখ দেখেই বুঝতাম কখন কি লাগবে।
হঠাৎ আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি,পরে পরিক্ষায় ধরা পড়ে আমার ক্যান্সার হয়েছে। এক কথায় না বাঁচার মতো অবস্থা।
তার কিছুদিন পর থেকেই সে আমার সাথে ছোটখাটো যেকোনো ব্যাপার নিয়ে খুব ঝামেলা করতো। এবং আমি ঘুমিয়ে পড়লে সে পাশের রুমে যেয়ে সারারাত ফোনে কথা বলতো। আমি শুনলেই উল্টাপাল্টা ব্যবহার করতো আমার সাথে। আমি তার আম্মুকে জানাই ব্যাপারটা। তিনি তখন তাকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বলে,আমিও রাজি হয়ে যায়।
যদিও তখন তাকে আমার পাশে রাখার অনেক প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু সে ও বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য মন খারাপ করে থাকতো। বাবার বাড়িতে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই সম্পর্কের ইতি টানল।
আমি রোজা থাকা অবস্থায় কক্সবাজার থেকে ফরিদপুর প্রাই ৩০০ কিঃ মিঃ + জার্নি করে তার বাসায় যাই এবং অনেক চেষ্টা করে তার সাথে দেখা করি।
এমনকি স্বামী হয়ে স্ত্রীর পায়ে ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা কান্না করছিলাম তাকে ফেরানোর জন্য ।
কিন্তু তাকে ফেরাতে পারিনি।
আজ প্রায় ৯ মাস হয়ে গেছে তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।
হাসপাতালে শুয়ে থেকে লিখলাম ডাক্তার বলছে বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে, সেই সামর্থ ও নেই।
এখন প্রতিটা দিন প্রতিটা রাত তাকে ছাড়া কোন কিছু ভাবতে পারি না। তার জন্য কান্না করতে করতে বেহুঁশ হয়ে যায়।
আমি মনে হয় বেশি দিন বাঁচবো না, অথচ এই শেষ সময়ে মানুষটা আমার পাশে নেই।🥺
পাঠালেনঃ সানি