আইন মেনে চলার জন্য ও আইনকে শ্রদ্ধা করার জন্য চরফ্যাসন উপজেলাবাসীকে চরফ্যাসন সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপারের আদেশ।
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আলোকিত নিউজ, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।
স্যার আইজ্যাক নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার গল্পটি বর্তমান বিশ্ব সভ্যতার বৈজ্ঞানিক বর্ণনার নেপথ্যে রয়েছে। যদি তাঁর মাথায় বাংলাদেশের পাকা কাঁঠাল পড়ত তবে বৈজ্ঞানিক বর্ণনায় তাঁর বর্ণিত চলমান সূত্রগুলো হয়তবা অন্য কিছু হতো। তবে আ-ষা-ঢ় মাসের পাকা তাল বিশিষ্ট তাল গাছের নীচে বসে থেকে ধ্যানে মগ্ন হয়ে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র আবিষ্কারের ঘটনার মত বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক চরফ্যাসন উপজেলাবাসীর প্রতি — আইন মেনে চলার ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আদেশ পড়েছে। বর্তমান ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার চরফ্যাসন পৌরসভার ছয় নং ওয়ার্ডের জমিজমা সংক্রান্ত অতীব পুরাতন বিরোধের আইনী লড়াইয়ে সাত্তার মাষ্টার বাহিনী ও অদুদ মাষ্টার বাহিনী সর্ব লড়াইয়ের মুখোমুখি। বিরোধীয় ঝামেলা নিয়ে উভয় পক্ষই দেশের শীর্ষাদালতের বারান্দায় গড়াগড়ির চলাফেরা করেছে বলে — তকমা প্রচারে ব্যস্ত রয়েছে। উভয় পক্ষের নিকট মামলা মোকদ্দমার সংগৃহীত ফাইলের কাগজ পত্রের ভলিউম অনেকটা — দেশের মাননীয় বিজ্ঞ অর্থমন্ত্রী মহোদয় কর্তৃক জাতীয় সংসদে পেশ করার জন্য, প্রস্ত্ততি নেওয়া অর্থ বাজেটের ফাইলের কাগজ পত্রের ভলিউমের হাসাহাসির মত। তারপরেও সজ্ঞান, সুবিদ্যা, সুবুদ্ধি, সুশিক্ষা, সু-সহনশীলতা, মান্যমানতা, রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি সুশ্রদ্ধা, দেশের সর্বোচ্চ র্আইনী রীতিনীতিতে জীবন যাপনের দরকারী সভ্যতার অভাবে এবং অসভ্যতাবাদী বর্বর জনগোষ্ঠির বিদ্যমান স্থানীয় অভয়ারণ্যের কারনে উভয় পক্ষের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার হিসেব-নিকাশ কেউ-ই মিলিয়ে নিতে পারছে না। শুনা যাচ্ছে যে, গত ০২/০৯/১৯৭১ ইং তারিখ হতেই ভোলাঞ্চলটি বরিশাল জেলার অধীনে থাকার আমল হতেই ঐ মামলার বাদী ও বিবাদী পক্ষগনের মধ্যকার মামলাটি সচল রয়েছে। মামলার ফিরিস্তি দেখে-শুনে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রশাসনিক ও অপ্রশাসনিক বর্তমান তরুন প্রজন্ম ঐ মামলা প্রসঙ্গে সদ্য গর্ভজাত ওঁয়াওঁয়া কান্না করা নবজাতকের দশায় বিদ্যমান আছে। অধুনা, সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে যে, গত প্রায় দুই সপ্তাহ জুড়ে জ্ঞান-বিদ্যা-বুদ্ধির নাদুস নুদুস পাপী ও সব সময়ই ক্ষমতার রুটি-পরোটা-হালুয়া প্রকৃতির খাদ্য খাওয়ার তৎপরতাকারী অদুদ মাষ্টার তার ঐ পৌর ছয় নং ওয়ার্ডের বাড়ীর উত্তর সামনে, পূর্ব-পশ্চিম দিকমুখী সিএমপি সড়কের দক্ষিন পার্শ্বে, ইট-বালি-রড-সিমেন্টের কি জানি কি অবকাঠামো নির্মানে নিয়োজিত হয়। জমিজমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা থাকার কারনে অদুদ মাষ্টারের ঘটন্ত ও উদন্ত প্রতিপক্ষ সাত্তার মাষ্টার পক্ষগনের মধ্যে অস্থিরতা বা ফৌজদারি আচরন শুরু হয়। উক্ত অস্থিরতা বা ফৌজদারি আচরনের বর্ণনায়- গত ৩০/০৪/২০২৪ ইং তারিখে চরফ্যাসন সার্কেলের জন্য চতূর্থ নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপারের ভাড়াটে কার্যালয়ে অদুদ মাষ্টার তার মেয়ে থাকার এডভারটাইজমেন্টের মত জানায় যে, ছাত্তার মাষ্টারের বাহিনী চরফ্যাসন থানা পুলিশ অফিসার শাহিনুর সহযোগে, ফিল্মি স্টাইলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে, তার ঘরের ইংলিশে মাস্টার্স পাশ মেয়ের নায়ক হওয়ার জন্য তার অবকাঠামো নির্মান কাজে বাধা প্রদান করেছে। বিষয়টি সে জেলা পুলিশ সুপারের নিকটও অভিযোগ আকারে জানানোর কথাও ব্যাক্ত করেছে। একই সময় একই টেবিলে ঐ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদি হাসানের জিজ্ঞাসায় – সাত্তার মাষ্টারগণ অদুদ মাষ্টারের নামে মাস্তান ব্যবহার করার অভিযোগ উক্তি উল্লেখ করে। একই সাথে অদুদ মাষ্টারের বিরুদ্ধে সাত্তার মাষ্টার তার বাদী পক্ষীয় — বরিশালের সাব জজ কোর্টের মামলা নং- বরি ৬(৯৪) এর রেফারেন্স টেনে ঐ জমির আইনী মালিকানা দাবী করে। তাই ঐ উপস্থিতির স্থানীয় বিজ্ঞ জনেরা- দীর্ঘ প্রায় পঞ্চাশ ষাট বছর যাবত সাত্তার মাষ্টারের আইনী মালিকানার ঐ জমিতে প্রায় চুয়ান্নটি পরিবারের ঘরবাড়ির বেআইনী বসতি থাকার কারনে ছাত্তার মাষ্টারকে বেআইনি বসতির বাসিন্দাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য যথাযত আদালতে উচ্ছেদ মামলা আনয়নের প্রস্তাব করেন ও তাগিদ দেন। সাত্তার মাষ্টার পক্ষগণও তাতে সম্মতভাব প্রকাশ করে। তবে উক্ত অফিসে উভয় পক্ষের মধ্যকার কথার বাদানুবাদে — এক পক্ষের প্রতি অপর পক্ষের মারপিটের, লাঠিয়লির, লাল চোখাচোখির ও বেআইনী আচার আচরনের হুমকি-ধামকি থাকায়, সহকারি পুলিশ সুপার উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের ভয়প্রেম দেখিয়ে পক্ষদ্বয়কে আইন মেনে চলার ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আদেশ প্রদান করে আলোচনা কার্যক্রম দ্রুত সমাপ্ত করেন এবং উভয় পক্ষের কাগজপত্র সূত্রে জমির মালিকানা বের করার জন্য ম্যজিস্ট্রেটের সাথে আলোচনার প্রয়োজন থাকার কথা জানান।। ছবিতে — অদুদ মাষ্টারের অবকাঠামো নির্মানের ঘটনার স্থান।