আইপিএলের সবচেয়ে দামী কেনাকাটা

পাঁচ দামী ক্রিকেটার কারা ছিলেন!

একদিন বাদেই শুরু হচ্ছে ১৫তম আইপিএলের নিলাম। ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে রুপির বস্তা নিয়ে বসবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজির সামনে ডাকা হবে ৫৯০ ক্রিকেটারের নাম। যথারীতি এবারো আগ্রহ থাকবে কে হতে যাচ্ছেন এই আসরের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়? উত্তর জানতে আপাতত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। তবে ফিরে দেখা যাক, আগের ১৪ আসরের নিলামের মধ্যে সেরা পাঁচ দামী ক্রিকেটার কারা ছিলেন!

ক্রিস মরিস (রাজস্থান রয়্যালস, ১৬.২৫ কোটি রুপি, ২০২১)

দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডারকে নিয়ে একের পর এক হাঁকডাক, যেন দাম চড়ানোর প্রতিযোগিতা। শেষমেশ ১৬.২৫ কোটি রুপিতে ক্রিস মরিস হলেন রাজস্থান রয়্যালসের। নিলামের ইতিহাসে সব রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি ২০২১ সালে। পেছনে ফেলেন ২০১৫ সালের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় যুবরাজ সিংকে।

দীর্ঘাদেহী এই ক্রিকেটার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১১ ম্যাচ খেলে করেন মাত্র ৬৭ রান। উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি, কিন্তু রান দেওয়ার বেলায় ছিলেন উদার, ইকোনমি রেট ৯.১৭।

এবারের নিলামে থাকছে না মরিসের নাম। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখন সাবেক হয়ে গেছেন। গত মাসে ক্রিকেটের সব ফর্ম থেকে অবসর নিয়েছেন।

যুবরাজ সিং (দিল্লি ক্যাপিটালস, ১৬ কোটি রুপি, ২০১৫ সাল)

ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতেন যুবরাজ সিং। স্বাভাবিকভাবে তাকে নিয়ে চাহিদা ছিল বেশি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে পেতে ২০১৫ সালের নিলামে শুরু হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যাতে করে তার দাম হয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি রুপি, দিল্লি ক্যাাপিটালস তাকে পায়। রাজস্থান মরিসকে ডাকার আগে সেটাই ছিল নিলামে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।

প্যাট কামিন্স (কলকাতা নাইট রাইডার্স, ১৫.৫০ কোটি রুপি, ২০২০)

অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্সকে নিতে দিল্লি ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ডাকাডাকি ছিল দেখার মতো। দুজনের লড়াইয়ে হুট করে ঢুকে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স, হাল ছাড়তে হয় বাকি দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। ২০২০ সালের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৫.৫ কোটি রুপিতে তাকে কিনে নেয় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। ওই সময় সবচেয়ে দামী বিদেশি খেলোয়াড়ের আসনে বসেছিলেন তিনি।

প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি কামিন্স। ২০২০ সালের আসরে ১৪ ম্যাচে ৭.৮৬ ইকোনমি রেটে ১২ উইকেট নেন। গত বছরও ফর্মে ফিরতে পারেননি। বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট অধিনায়ক সাত ম্যাচ খেলে ৮.৮৩ ইকোনমি রেটে পান ৯ উইকেট। তার ওপর আস্থা রাখেনি গতবারের রানার্সআপরা। ছেড়ে দিয়েছে এবার।

কাইল জেমিসন (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, ১৫ কোটি রুপি, ২০২১ সাল)

গত বছরের নিলামে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির দল ১৪ কোটি রুপির বেশি খরচ করে দুই খেলোয়াড়কে কিনেছিল।

কাইল জেমিসনকে তারা কিনেছিল ১৫ কোটি রুপি দিয়ে। আর সোয়া ১৪ কোটি রুপিতে তারা নেয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে।

ম্যাক্সওয়েলকে বেঙ্গালুরু এবার ধরে রাখলেও জেমিসনকে ছেড়ে দিয়েছে। বাজে ফর্মের কারণেই তাকে রেখে দেয়নি দলটি। নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ৯ ম্যাচে ১৬.২৫ গড়ে মাত্র ৬৫ রান করেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৮.১৮। বল হাতে ৯ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন প্রচুর, ইকোনমি রেট ৯.৬০।

বেন স্টোকস (রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট, ১৪.৫০ কোটি রুপি, ২০১৭ সাল)

আইপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ দামী খেলোয়াড় বেন স্টোকস। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে আগ্রহ বেশি থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। ২০১৭ সালে তো তাকে নিতে কাড়ি কাড়ি খরচ করেছিল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট।

১৪.৫০ কোটি রুপি ছিল তার দাম, যা ওই আসরের সর্বোচ্চ। বর্তমান বিলুপ্ত দলটিকে আস্থার প্রতিদান ভালো পারফরম্যান্সে দিয়েছিলেন স্টোকস।

১২ ম্যাচে ১৪২.৯৮ স্ট্রাইক রেটে ৩১৬ রান করেনক ইংলিশ অলরাউন্ডার। ৭.১৮ ইকোনমি রেটে পান ১২ উইকেটও। পরের বছরও তাকে নিতে দশ কোটির বেশি খরচ করেছিল রাজস্থান রয়্যালস, ২০১৮ সালে তার দাম উঠেছিল সাড়ে ১২ কোটি রুপি। এবারের নিলামে থাকছেন না স্টোকস, নিজে থেকে খেলার আগ্রহ দেখাননি তিনি।

Exit mobile version