বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপিসহ ১১টি দলকে যে কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, মো. আবুল হাসনাত ও মো. হাসিবুল ইসলাম, তিনজন আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।
অন্যদিকে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদের (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েও রিট করা হয়েছে।
অন্যদিকে ১১টি দলের বিষয়ে করা রিটে জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশকে বিবাদী করা হয়েছে।
১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনের পর নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রিটের বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
পোস্টে তারা লিখেছেন, ‘আজকে ২টি রিট করেছি। ১. আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট।
২. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদের পলিটিক্যাল সব এক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট।
দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই বলেও তারা উল্লেখ করেন।