আজ থেকে বিকল্প জনবল দিয়ে যশোরে পরিছন্নতার কাজ শুরু।

জীবন আচার্য্য :
বৃহস্পতিবার থেকে বিকল্প জনবল দিয়ে যশোরে পরিছন্নতার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।এমনকি হরিজনদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আর বহন করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হলেও নমনীয় হয়নি কোনো পক্ষই। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হরিজনদের কোনো ‘অনৈতিক’ দাবি আর মেনে নেয়া হবেনা।আজ থেকে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আরও কয়েকটি এলাকায় কাজ করা হবে।এদিকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে রেলরোড হরিজন পল্লীর শতাধিক পরিবার টানা চারদিন অন্ধকারে থাকার প্রতিবাদে মাঠে রয়েছেন ৮টি হরিজন পল্লীর নেতারা।তারা দ্রুত সংযোগ দেয়ার দাবিতে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন।এব্যাপারে যশোরে জেলা প্রশাসকের সাথেও কথা বলেছেন নেতারা।যশোর পৌরসভার নামে থাকা ৩টি মিটারে ৩টি হরিজন পল্লীতে বকেয়া ৫ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য বছরের পর বছর নোটিশ করে আসছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। এর প্রেক্ষিতে চলতি মাস থেকে যশোর পৌরসভার কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন এখন থেকে হরিজনদের বিদ্যুৎ বিলের দ্বায় আর নেবেনা পৌরসভা। এর কদিন পরেই ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হঠাৎ রেলরোডের হরিজন পল্লী বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই থেকে টানা ৫ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন আছে শতাধিক পরিবারের বসবাসের হরিজন পল্লী।বিদ্যুৎ বিছিন্ন করার প্রতিবাদে মাঠে নেমে কর্মবিরতি করছেন হরিজনেরা। গত চারদিন ধরে পৌরসভা এলাকায় কর্মবিরতি পালন করাসহ ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এছাড়া বিদ্যুৎ ইস্যুতে কাজ বন্ধ করে মাঠে নামে হরিজন সম্প্রদায় ।
এদিকে কাজ বন্ধ রাখার ঘটনায় শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার স্তুপ জমা হওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পৌর মেয়র হায়দার গনী খান পলাশ তার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান  আর একদিন দেখা হবে।এর মধ্যে হরিজনেরা কাজে যোগদান না করলে বিকল্প লোক দিয়ে কাজ করানো হবে। কিন্তু আল্টিমেটাম অনুযায়ী হরিজনেরা কাজে যোগদান না করায় বৃহস্পতিবার নতুন জনবল দিয়ে কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আর আজ থেকে আরো বিকল্প জনবল কাজে লাগানো হবে বলেও জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
Exit mobile version