মাসুদুর রহমান – আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে “আপনার সামান্যতম অনুদান বয়ে আনতে পারে একটি অসহায় ক্যান্সার শিশুর মুখে হাসি যা কোটি টাকার চেয়ে দামী” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে আশিক ফাউন্ডেশন ফোর চাইল্ডহুড ক্যান্সারের আলোচনা সভা ও প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বাংলা মোটর আশিক ফাউন্ডেশন এর মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শাওমি ইমামের উপস্থাপনায় আশিকের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও সেবা গ্রুপের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন চৌধুরী , প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিসেস সালমা চোধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে আশিক শেল্টারের শিশু ও ক্যান্সার রোগীদের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সালমা চৌধুরীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এ সময় প্রফেসর ড. নাইমা হক, মিসেস আফসানা,ওয়াহিদুল আলম, আলতাফ হোসেন, মাকসুদা রহমান সহ আশিকের স্টাফ, কতিপয় ডোনার, ভলান্টিয়ার্স, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, এবং আশিক শেল্টারের অবস্থিত ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অর্ধ শতাধিক শিশুকে চকলেট ও খাবার বিতরণ করেন সমাজসেবীকা রিদওয়ানা আফরীন সুমি।
রোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইভার বাবা আব্দুর রশিদ খান বলেন, আশিক একটু ব্যতিক্রম ধর্মী প্রতিষ্ঠান যারা মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। মানবিক দিক থেকে চিন্তা করলে আশিক শেল্টার থেকে আমরা যে সহযোগিতা পেয়েছি তার কোন তুলনা হয়না। আশিক শেল্টারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আশিকের এই উদ্যোগকে চারপাশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
আশিকের প্রেসিডেন্ট এবং সেবা গ্রুপের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন চোধুরী এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে বলেন, ২৭ ধরে সালমা চৌধুরী অক্লান্ত পরিশ্রমে আশিকের মাধ্যমে হাজার হাজার ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। তার এই কাজকে গতিশীল রাখতে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু একার পক্ষে এই কাজ চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। যদি সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং আরও ডোনাররা ও ভলান্টিয়াররা আশিকের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে এই অসহায় শিশুদের অনেকেই তাদের চিকিৎসা শেষ করে সার্ভাইভার হতে পারে।
ক্যান্সার কোন ছোয়াচে রোগ না বলে আশিকের চেয়ারপার্সন সালমা চৌধুরী উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে তার বক্তব্যে বলেন , শিশু ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা এবং এর প্রতিবন্ধকতা দূর করার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারী সারা বিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস।সর্বপ্রথম শিশু ক্যান্সার দিবস পালিত হয় ২০০২ সালে, childhood cancer international কতৃক যাকে CCI বলা হয়। আশিক ফাউন্ডেশন ১৯৯৯ সাল থেকে CCI এর সদস্য হিসেবে প্রথম থেকেই এই দিবসটি পালন করে আসছে। ক্যান্সার ছোয়াচে রোগ না। কিন্তু আমাদের দেশে সচেতনতার অভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু তার স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাংলাদেশেই এখন শিশু ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ক্যান্সারই নিরাময়যোগ্য। দ্রুত রোগ সনাক্ত হলে ৮০% শিশুদেরকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যেতে পারে।