আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের শাস্তি দাবি করছে আবু সাঈদের শিক্ষকরা

বেরোবি প্রতিনিধি;সাজ্জাদুর রহমান
কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের শাস্তি দাবি করছে আবু সাঈদের বিভাগের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১লা আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসিফ আল মতিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা আন্দোলনের সময় অনেক মূল্যবান জীবন হানি হয়েছে। এছাড়াও অনেক নিরাপরাধ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা খুবই উদ্বিগ্ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গোটা জাতি দেখেছে পুলিশ নিরস্ত্র আবু সাঈদকে বন্দুকের সামনে গুলি করেছে। আমরা আশা করছি ও অনুরোধ জানাচ্ছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা কোন অবহেলা না করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনবে।
প্রসঙ্গত, রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও তাদের নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য হতে কং/ ১১৮৬ সোহেল তার নামীয় সরকারি ইস্যুকৃত শটগান হইতে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।’
সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীরা ধরাধরি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
Exit mobile version