আলোচনায় থাকতেই পরী-রাজের এত কিছু!

পর্দায় আসছে সিয়াম আহমেদ ও পরীমণি অভিনীত চলচ্চিত্র ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ আগামী ২০ জানুয়ারি। কলাকুশলীরা এর প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। তবে ছবির চেয়েও নাটকীয় ঘটনা ঘটে চলেছে এর নায়িকা পরীমণির বাসায়। এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসছে পরী-শরিফুল রাজ দম্পতিকে ঘিরে। পুরোটাই ব্যক্তিগত হলেও তার দু-একজন কাছের মানুষের মতে, আলোচনায় থাকতেই এমন ইস্যুগুলো তৈরি করা হচ্ছে। যুক্তি হিসেবে তাদের দুজনের ভাষ্যগুলোও সামনে আনা হয়েছে। এ আলোচনায় থাকার চেষ্টাটা হলো পরীর নতুন ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’কে সবার ফোকাসে রাখা। এমনকি স্বামীর সঙ্গে সাংসারিক বিবাদের মধ্যেও চলচ্চিত্রটির প্রচারণায় রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে দেখা গেছে তাকে।

২০২২ সালের শেষ দিন সংসার বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন পরীমণি। বছরের প্রথম দিনেই বিছানা-বালিশে রক্তমাখা ছবি প্রকাশ করেন তিনি। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, সুস্থভাবে বাঁচতে চান। তাই বিচ্ছেদ অবধারিত। চলে আসেন নিজের বনানীর বাসাতে। এদিকে যোগাযোগ করা হলে, পরীই জানান, রাজ এখন তাদের বনানীর বাসায়। নানা ঘটনা ঘটলেও তারা একসঙ্গেই বসবাস করেন। গত ছয় দিনের মাত্র দুদিন রাজ-পরী আলাদা বাসায় ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘আমি আমার বাসায় (বনানী) আছি। দুদিন পর রাতে ও (রাজ) আমার বাসায় ফিরেছে।’

গেল দুদিন কোথায় ছিলেন—জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘জানার মতো কোনো পরিস্থিতিতে ও ছিল না। এমন অবস্থায় বাসায় ফিরেছে। তাকে প্রশ্ন করেও কোনো লাভ হয়নি।’

জানা যায়, এ সময়টাতে রাজের বাবা-মা বাসায় এলেও তারাও দুদিন পর চলে যান।

দাম্পত্য কলহ নিয়ে তারকা অভিনেত্রী পরীমণি যতটা সরব, শরিফুল রাজ ছিলেন ততটাই নীরব। তবে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন অজ্ঞাতপরিচয় গডফাদারদের প্রতি। লেখেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লাইভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’

এই গডফাদার কারা—জানতে চাইলে অস্পষ্ট জবাব রাজের। বলেন, ‘আমি তো যা বলার বলেছি। এখন দেখার অপেক্ষায় আছি তাদের। পরে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছি।’

বেশ কিছু সূত্র বলছে, পরী-রাজের বিষয়টি যতটা ফেসবুকে আসছে, তাদের মধ্যে এলে এত কিছু হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পরীর বেডরুমে রক্তমাখা বালিশের ব্যাপারে তাদের বসুন্ধরার বাসার ম্যানেজার এক সংবাদমাধ্যমে জানান, এটা রাজের হাতের রক্ত। তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাটগুলো দেখভাল করছি অনেক দিন। প্রতিদিনই তাদের (রাজ-পরী) সঙ্গে দেখা হয়। অনেকে ভেবেছেন, পরীমণি রাজকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন; বিষয়টি তা নয়। অ্যাকুয়ারিয়াম রাখতে গিয়ে রক্তারক্তি হয়েছে। রাজ নিজেই অ্যাকুয়ারিয়াম সরাচ্ছিলেন। সেটি পড়ে ভেঙে রাজের হাত কেটে গেছে। ওই সময় রাজও তো পাশে ছিল। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না।’

এদিকে, বুধবার সন্ধ্যাতেও পরী জানান, তারা একসঙ্গে আছেন। সন্তানের মঙ্গলের বিষয়টি মাথায় রেখেই সবকিছু করবেন তিনি। অন্যদিকে চলছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির প্রচারণাও।

Exit mobile version