দুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পটুয়াখালী দুমকিতে কামারশিল্পী কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে। কয়লা পোড়া গন্ধ, ধুঁয়া আর হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে ধারালো দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। আর ফাঁকে ফাঁকে চলছে পুরনো দা, বটি, ছুরি ও চাপাতিতে শান দেয়ার কাজ। তাই দম ফেলার মতো সময় নেই কামারদের। কাজের চাপ বেশি থাকায় শ্রমিকের সংখ্যা কম, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্ম ব্যস্ততা।
দুমকি উপজেলার পির তলা বাজার, দুমকি নুতন বাজার, আংগারিয়া বন্ধর,পাতা বুনিয়া বাজার, কদমতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজার, রাজাখালি, পাগলার মোর, ধোপার হাঠখলাসহ। সব দোকানে কামাররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কয়লার আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে তারপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, ছুরি, চাকু, চাপাতি, কুড়াল, বটিসহ ধারালো বিভিন্ন সামগ্রী।
বিভিন্ন এলাকার কামারশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য সময়ের তুলনায় কুরবানির ঈদে বেচা-বিক্রি বেশি থাকে। ঈদে প্রতিদিন গড়ে আট থেকে দশ হাজার টাকার বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে। এ কারণে অনেকেই ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন হাট বাজারে দা, চাপাতি ও ছুরি বিক্রি করছেন। উপজেলায় প্রায় ১৫ টি কামারশালা আছে।
কামারশিল্পী উত্তম কর্মকার বলেন, সারা বছর আমাদের তৈরি জিনিসের চাহিদা থাকে। কিন্তু ঈদের আগেই অনেকেই পশু কুরবানির জন্য নতুন ছুরি, চাপাতি, চাকু কিনতে আসেন। পাশাপাশি পুরনো ছুরি, চাপাতি, চাকু শান দেয়ার জন্য নিয়ে আসেন। আমাদের এই ব্যস্ততা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত থাকবে।
দুমকি নুতন বাজারের কামারশিল্পী খোকন কর্মকার বলেন, লোহার মানের ওপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়। স্পিং পাতি লোহার মান হিসেবে সবচেয়ে ভালো। এ লোহার ১ কেজি ওজনের চাপাতি ৫০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের দা ৭০০ টাকা ও ছুরি বিক্রিকরে বিভিন্ন দরে ৬০০,৪০০,৩০০,২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বর্তমানে লোহার দাম বেশি থাকায় দামও একটু বেশি পরছে, এতে আমাদের কিছুই করার থাকে না,জীবিকা নির্বাহ করতে কষ্ট হলেও আমরা এই কাজ শিখেছি বলে জানান তারা।
##