‘একটিও যেন গোহত্যা না হয়’

, ডিজিপিকে কড়া নির্দেশ মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের

ডেস্কঃ আগামীকাল গোটা দেশ জুড়ে পালিত হতে চলেছে বকরি ঈদ (Eid)। প্রতি বছর এই দিনটিকে উপলক্ষ্য করে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোহত্যা করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি রাজ্যে গোহত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে আর এবার সেই পথে অগ্রসর হলো মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নতুন সরকার।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে বহু রাজনৈতিক টালবাহানার পর উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপির জোট। এরপর থেকেই তাদের একাধিক সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এরমাঝেই এদিন প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে গোহত্যা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারভেকর। যদিও বর্তমানে এই নির্দেশটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি একনাথ শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময়কালে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাহুল নারভেকর আর এই পদে বসামাত্রই এদিন মহারাষ্ট্র ডিজিপিকে গোহত্যা সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন তিনি। অতীতে বাণিজ্যনগরীতে গোহত্যাকে অপরাধ বলেই নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার জোট সরকারে থাকাকালীনতা গোমাতার হত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি ফিট টু স্লটার সার্টিফিকেট না থাকলে যদি কেউ গরু কিংবা গরুর মাংস বিক্রি করে তবে তার পাঁচ বছর জেলের পাশাপাশি জরিমানা পর্যন্ত করার নির্দেশ দেয় সরকার আর এবার পুনরায় একবার বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেই পথে হেঁটে কঠোর পদক্ষেপ নিল তারা।

সম্প্রতি গোহত্যা নিষেধের ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। তিনি বলেন, “গোটা দেশে হিন্দু এবং মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে। তাদের সেই ঐক্য ভাঙা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে, ঈদে যদি একদিন গরু না খাওয়া হয়, তাহলে আমরা মরে যাব না। আমাদের পূর্বপুরুষরা কিন্তু সকলে হিন্দু ছিল। পরবর্তীকালে সেটি ইসলামে পরিবর্তিত হয়েছে। তাই আমাদের উচিত, সকল ধর্মের প্রতি সম্মান বজায় রাখা।”

Exit mobile version