আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মৎস্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
স্থানীয় সাংসদের প্রচেস্টায় বিলকুমারি বিলে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কজওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে বাৎসরিক মাছের চাহিদা (দৈনিক ৬০ গ্রাম) ধরে ৩ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন-
এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত হচ্ছে ২১৩ মেট্রিক টন। বিগত ২০০৬ সালে পুকুর-
দীঘি ছিল ২ হাজার ১৯৩টি, আয়তন ছিল ৪৬৫ হেক্টর এবং মাছের উৎপাদন ছিল এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ও মৎস্য
চাষি ছিল ৫০০ জন, মৎস্য খামার (বাণিজ্যিক) ১২১টি আয়তন ছিল ৪৬.০ হেক্টর ও মাছের উৎপাদন ছিল ১৫৭
মেট্রিকটন, বিল ছিল একটি আয়তন ১৫৭ হেক্টর মাছের উৎপাদন ছিল ৯০ মেট্রিক টন, পোনা ব্যবসায়ি ছিল ১৫ জন
ও মৎসীজীবি ছিল ৫৫০ জন। এছাড়াও মাছের দৈনিক বাজার ১টি, মাছের আড়ৎ ছিল ৫টি ও সাপ্তাহিক হাট ১৪টি। সুত্র জানায়, বিগত ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১০ বছরে মৎস্য খাতে প্রায় চারগুন বেশি উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিগত ২০১৮ সালের দেয়া তথ্যমতে তানোরে
পুকুর-দীঘির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫
হাজার ৩৮৪টি, আয়তন ৭৯১ হেক্টর, মাছের উৎপাদন ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিকটন এবং বৃদ্ধির পরিমাণ ২ হাজার ৪৮৩ মেট্রিকটন। এছাড়াও মৎস্য চাষি এক হাজার ৯৪ জন, মৎস্য খামার
(বাণিজ্যিক) ৮০৭টি, আয়তন ২০৯ হেক্টর, মাছের উৎপাদন এক হাজার ২৩২ মেট্রিকটন বৃদ্ধি এক হাজার ৭৫
মেট্রিক টন। অন্যদিকে বিল একটি, আয়তন ১৫৭.০ হেক্টর, ব্যবসায়ী ৩৭ জন বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ জন ও মৎস্যজীবি এক
হাজার ৬৭২ জন বেড়েছে এক হাজার ১২২ জন। মাছের দৈনিক বাজার ৩টি বেড়েছে ২টি, মাছের আড়ৎ ২১টি এবং
বেড়েছে ১৬টি। এছাড়াও অবকাঠামো অভয়াশ্রম ৩টি আয়তন ২.৫ হেক্টর, স্পিলওয়ে একটি ৫০ মিটার ও বিল নার্সারি একটা ও ৩টি পুকুর আয়তন এক হেক্টর এবং জীবন্ত মাছ পরিবহণের অবকাঠামো তৈরী করা হয়েছে ৩টি। এসব বিবেচনায় মাছ ব্যবসায়ী, চাষি ও মৎস্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এমপি ফারুক চৌধুরীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তারাও এমপি ফারুকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো ফারুক চৌধুরীকে এমপি নির্বাচিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রচারণা শুরু করেছে।
অন্যদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষে প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য়) , কুঁচিয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্প, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ এলাকার জনগণের দারিদ্র বিমোচন ও জীবিকা নিশ্চিত করণ প্রকল্প, এফসিডিআই প্রকল্প ও ফুড সেফটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টা ও মৎস্যখাতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করায় মৎস্যখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বে মিঠা পানির মাছ চাষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকারের সময়ে মৎস্য খাতে যে উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে এক কথায় তা নজিরবিহীন। তিনি বলেন, আগে প্রতি
বছর ৪৫ হাজার টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করা হতো এখন দেড় লাখ টাকার পোণা অবমুক্ত করা হয়, এছাড়াও মৎস্য সপ্তাহ পালনের জন্য সাড়ে ১৩ হাজার টাকা দেয়া হতো এখন
৩৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।