কবিত—–  আমার জন্মভূমি

কবি কে এম তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল
পাকিস্তানি হানাদার নরপিচাশ রাজাকারের সাথে তুমুল
যুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তর মেশিন গানের বুলেটে বুলেটে আমার
ঝাঁঝরা বুকের উপরে ফুটে উঠেছে যে মানচিত্র—তার নাম আমার রূপসী বাংলা আমার জন্মভূমি আমার প্রতিটি রক্তের
ফোঁটা দিয়ে চা-বাগিচায় সবুজ খেতে পাহাড়ে-অরণ্যে লেখা হয়েছে যে ভালোবাসা—তার নাম সোনার বাংলা আমার
মাতৃভূমি আমার অশ্রুর বারিধারায় এ খুনীর চেয়েও রুক্ষ কঠোর মাটিতে বোনা হয়েছে যে-অন্তহীন ভালোবাসার
গানের স্বপ্ন ও আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি তার নাম সবুজ বাংলা আমার ঠাণ্ডা বুকের
ভেতরএখন গাঢ় হয়ে জমে আছে কপাল থেকে মৃত মায়ের বুকের রক্ত মুছে ফেলে আমাকে বুকে ক’রে তুলে নিতে
এসেছে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা হতে জয় বাংলা’ স্লোগানে স্লোগানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিটি
ধর্ষিতা বাঙালি যুবতীর শোক নয় ক্রোধের আগুনে দাউ দাউ জ্বলে যাচ্ছে আজও আমাদের বিবেক ভরাট গর্ভের মত
আকাশে আকাশে কেঁপে উঠেছিল পূর্ণিমার মেঘ তার একটু পরেই প্রতিটি মরা খাল-বিল-পুকুর কানায় কানায় ভরে
উঠেছিল আমার মায়ের চোখের জলে প্রতিটি পাথর ঢেকে গেল সেদিন  লাল রক্তের  চুম্বনে সুদূরে মিলায় সবুজ
ফসলের মাঠখানি সবুজ আর সোনালী মিশে একাকার মন যে সুদূরে নিল টানি পশ্চিমা সূর্যের কিরণে ঝিকমিক
সোনালী ফসলের মাঠ সোনা রোদের ঝিলিক স্নিগ্ধতায় মুগ্ধতায় দুচোখ খুশিতে চিকমিক পাখিরা করে কলরব
গাছের শাখে শাখে ঝির ঝির হাওয়া বয় পথিক ঝিরোয় ছায়ায় ফেরিওয়ালা হাক পাড়ে ওই পথের বাঁকে কুয়াশার
চাদর বিছায়েছে দেখ কচি ঘাসের মাথায় শিউলীরা ভালবেসে শিশিরের গায়ে দেয় চুম্বন আহ! ফুলের আঘাতে
গলে গেল শিশির ব্যথায় টুপটাপ টুপটাপ শিশির ফোটা টিনের চালে বহে হিমেল বায় মনোরম আবেশ যেন প্রকৃতি
গান গায় তালে তালে রাতের জোছনা ঝরা আকাশে মিলি তারা আর জোনাকীদের সাথে প্রাণ ভরে নি:শ্বাস নেই উন্মুক্ত
বাতাসে আমার প্রিয় বাংলাদেশ হাজার স্বপ্ন দিয়ে সাজাই তারে স্বপ্নের তো আর নেইকো শেষ ঋতু বৈচিত্রের সুন্দর
জন্মভূমি আমার বিচিত্র রূপ তার শস্য শ্যামল ক্ষেত খামার প্রিয় জন্মভূমি মা হৃদয়ের গভীর থেকে তোমায় ভালোবাসি !!
Exit mobile version