কুমিল্লা সীমান্তে বেড়া তুলছে বিএসএফ, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরের পাড়ে সীমান্ত বেড়া তুলছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। কুমিল্লা আদর্শ সদরের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকার সীমান্ত একটি পুকুরের পাড়ে এই বেড়া তুলছে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরটির এক তৃতীয়াংশ ভারতে আর বাকী একাংশ বাংলাদেশে পড়েছে। তবে, উভয় দেশের বাসিন্দারা এই পুকুরে গোসলসহ প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করে থাকেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে শাহপুরের সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয়রা সেখানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে। এ নিয়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

সীমান্ত পিলারের দেড়শ গজের ভেতরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দেড়শো গজের ভেতরে সীমান্ত বেড়া দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় হলেও ভারতীয়রা ২০-৩০ গজ ভেতরে বেড়া করছে। তবে বিজিবির দাবি, ‘নিজেদের অংশে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত। নকশার বাইরে বেড়া দিলে বাধা দেওয়া হবে।’

এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা আরো বলেন, সীমান্তের পিলারের কাছে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভয় দেখায় বিএসএফ। জিরো পয়েন্টের দিকে গেলেই অস্ত্র তাক করে বিএসএফ সীমান্ত ছাড়ার হুমকি দেয়। সীমান্ত না ছাড়লে গুলি করারও হুমকি দেয়।

 

শাহপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা আগে শুনতাম দেড়শ গজের ভেতরে কোনও তারকাঁটা বেড়া দেওয়া যাবে না। কিন্তু ভারতীয়রা এখন মাত্র ২০ গজের মধ্যেই তারকাঁটা বেড়া দিচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে গেলেও বিএসএফ ওই পাশ থেকে বন্দুক তাক করে আমাদেরকে গুলি করার হুমকি দেয়। সীমান্ত থেকে না চলে গেলে তারা আমাদেরকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায়। কোনো পাবলিক ওইখানে গেলে তারা বলে “যাও আউট, নইলে গুলি করব”।

এদিকে সরেজমিন কুমিল্লা সীমান্তে দেখা গেছে, বিজিবির সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে প্রবেশের সব রাস্তায় এখন কড়া পাহারা। এছাড়াও ভারতীয় অংশেও টহল বাড়িয়েছে বিএসএফ।

শাহপুর সীমান্তের পুকুরটির কাছে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরটির কাছেই বিজিবির একটি দল সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে, বিএসএফের উপস্থিতিতে চলছে বেড়া নির্মাণের কাজ।

এই বিষয়ে কুমিল্লা ১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ বলেন, আমরা অতিরিক্ত বিজিবি টইল জোরদার করছি। এ বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেব।

Exit mobile version