কুয়েটে হামলার দায় শিবির বাদেও সরাসরি দেওয়া হয়েছে হাসনাত আব্দুল্লাহর নামে। উনি নাকি পুরো হামলা মনিটর করেছেন।

কুয়েটে হামলার দায় শিবির বাদেও সরাসরি দেওয়া হয়েছে হাসনাত আব্দুল্লাহর নামে।
উনি নাকি পুরো হামলা মনিটর করেছেন।
৬ মাস আগে এই ছেলেগুলোর নেতৃত্বে আন্দোলন করে এরা রাজনীতি করার সুযোগ পাইলো। ৬ মাস না যাইতেই এখন দায় দেওয়া শুরু করেছে।
এন্ড ভবিষ্যতে এই ছেলেগুলোকেই সবার আগে ফাঁসি দেওয়া হবে, লিখে রাখেন।
বাংলাদেশে বিপ্লবীদের পরিণতি সবসময় করুণই হয়। আজ আরো একবার ঐটাই মনে পড়লো।
অথচ এই আন্দোলন না হলে কুয়েটে এরা ফর্ম বিতড়ন করতে পারতো? গত ১৭ বছর কয়টা ফর্ম বিতরণ করতে পারছিলো? পারে নাই। এখন যারা সেই সুযোগটা করে দিছে, তাদেরকেই “মব” বলতেছে।
শুধু তাই না, ঐক্যমত্য কমিশনে কেন ছাত্ররা গেল, ঐটাও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ছাত্ররা যাবে না, তাইলে কে যাবে?
বিএনপি গেছে। জামায়াত গেছে। বাংলাদেশের সকল পলিটিকাল পার্টি গেছে। ছাত্রদের তো কোন পার্টি এখনও হয় নাই। তারমানে কী সংস্কার হবে, কী সংস্কার হবে না, সেইটা নিয়ে ছাত্রদের কোন মত থাকবে না?
বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে বসাইয়া আমার জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে, এখন আপনারা বলতেছেন, ছাত্রদের বেশি বোঝা ঠিক না। ছাত্ররা লেখাপড়া করুক। ছাত্ররা সরকারে কেন?
তাইলে যেদিন আবু সাঈদ মরে গেল, মুগ্ধ মরে গেল, ওয়াসিম মরে গেল, রিয়া গোপ মরে গেল, আমার ভাইয়েরা রাস্তায় পড়ে পড়ে মার খাইতেছিলো, সেইদিন আপনারা কেন বলেননাই যে ছাত্রদের কাজ লেখাপড়া করা? তোমরা পড়তে যাও, আমরা মরি?
কেউ তো বলেননি সেইদিন।
৫ আগস্ট পর্য্যন্ত ছেলে মেয়েরা প্রাণ দিয়েছে।
হাসিনার পতনের পর এই হাসনাত আব্দুল্লাহরাই সবার আগে, ইভেন সরকার গঠনের আগে রাজবন্দীদের মুক্তি চেয়েছিলেন। যাতে খালেদা জিয়াসহ সব নেতাদের মুক্তি নিশ্চিত হয়।
আপনাদের নেতা, রুহুল কবির রিজভী, কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, স্কুলের মাসুম মাসুম বাচ্চারা গুলির সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিয়ে আমাদের মুক্ত করে গেছে।
আর আজ তাদেরই প্রশ্ন করেন, ঐক্যমতে কমিশনে এরা কীভাবে ঢুকে?
যারা আপনাদের জন্য সারা বাংলাদেশকে মুক্ত করলো, আপনাদের নেতাদের জেল থেকে বের করলো, তাদেরই এখন হুমকি দেন, ভিলেন বানান?
খুব জানতে ইচ্ছা করে, আপনারা এই লেভেলের অকৃতজ্ঞ কেমনে হন? কেন হন? এরা তো আপনাদের কাছে সিট চায় নাই। ক্ষমতাও চায় নাই। মিনিমাম একটু সম্মান রাখাটা কি এতোই বেশি কঠিন?
লেখাটি সংগৃহীত
Exit mobile version