কেউ সাধে স্বামীর ঘর ছাড়ে না, এখন দেবরই আমার বৈধ স্বামী

উপজেলার রোয়াইল এলাকায়।

ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়া প্রেমের টানে বিদেশফেরত আপন দেবরকে নিয়ে ঘর ছেড়েছে বড় ভাবি। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রোয়াইল এলাকায়।

বৃহস্পতিবার বিকালে এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পূর্বের স্বামী এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানা পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের মো. ইশার আলীর বড়ছেলে মো. রবিউল ইসলাম রবি বছরসাতেক আগে বিয়ে করেন মানিকগঞ্জ জেলা সদরের বৈতরা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে আরিফা আক্তারকে (২৬)। তাদের সংসারে আরহাম (৫) ও ইব্রাহিম (২) নামে দুই ছেলে রয়েছে।

এরই মধ্যে রবিউলের ছোটভাই রাকিব হোসেন (১৯) মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি করতে যাওয়ার পর ভাবির চাওয়া পূরণ করে তার মন জয় করে ফেলেন। ভাবির পেছনে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা খরচের ফলে ভাবির সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সম্পর্কের সুবাদে ইমোতে তাদের প্রায়ই কথাবার্তা হতো। মাঝে-মধ্যেই স্বামীর চোখে ধরা পড়ত এসব দৃশ্য। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়ে কয়েক দফা সালিশও হয়।

চলতি মাসের ২ তারিখে রাকিব ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। পরে ভাবির সঙ্গে দৈহিক মেলামেশার একপর্যায়ে বড়ভাই রাকিবের কাছে বেশ কয়েকবার ধরাও পড়ে তারা। রবিউল ইসলাম ল’জ্জা ও ঘৃণায় আ’ত্ম’হ’ত্যা’র’ চেষ্টাও করেন একাধিকবার।

এসব ঘটনার পর বুধবার রাতে দেবর-ভাবি পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন। তারা বৃহস্পতিবার সকালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ ঘটনায় বড়ভাই রবিউল ইসলাম তার ছোটভাই ও স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ধামরাই থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রবিউল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে মমিনের সহায়তায় আমার ছোটভাই ভাগিয়ে নিয়েছে। আমার দুই সন্তানের এখন কী হবে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।

এ বিষয়ে রাকিব হোসেন বলেন, আমি আইন মেনে আমার ভাবিকে বিয়ে করেছি। এখন সে আমার বৈধ স্ত্রী। আমার ভাই আমাদের কিছুই করতে পারবে না। এখন আর পরকীয়ার অজুহাত চলবে না।

Exit mobile version