অনিয়মে গলদে ঠাসা লক্ষ্মীপুরের সেই সড়কের কাজে অসন্তোষ

অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

ভোলা-বরিশাল মহাসড়কের লক্ষ্মীপুর অংশের সাড়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মাসিক জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তারা গলদে ঠাসা কাজটির মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

 

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মজু চৌধুরী ঘাট সড়ক নির্মাণ কাজে ঠিকাদার ইচ্ছেমতো করার বিষয়টি উপস্থাপন হয়। এসময় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনিয়মের বর্ণনা করেন। বিষয়টি নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে মাসিক জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় উপস্থাপনেরও সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না বলেন, রাস্তার নিম্নমানের কাজ ও অব্যাহত দুর্নীতির ব্যাপারে সভায় উপস্থাপন হয়। বিষয়টি ডিসি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সড়ক সচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অধিকাংশ বক্তা কাজের মান নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র জানায়, বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশালের চরকাউয়া থেকে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে। এর আওতায় লক্ষ্মীপুর অংশে রয়েছে মজু চৌধুরীহাট ফেরিঘাট থেকে লক্ষ্মীপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণ। বাড়তি কাজসহ ১০৫ কোটি টাকা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মঈনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড কাজটি পেয়েছে। কাজটি স্থানীয়ভাবে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটের ইস্কান্দার মির্জা শামীম সমন্বয় করছেন। তিনি পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কথিত ভাগিনা। সড়কের এ কাজে শুরু থেকেই কার্যাদেশ মানা হচ্ছে না। প্রকৌশলী ছাড়াই ঠিকাদারের ইচ্ছামতো রাতেও কার্পেটিং কাজ করা হয়।

Exit mobile version