Site icon দৈনিক দেশের সংবাদ deshersangbad.com

গাইবান্ধা জেলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি নেতাকর্মীরা।

বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে চলছে গ্রেপ্তার অভিযান। অনেক এলাকায় সাধারণ মানুষও এখন গ্রেফতার আতঙ্কে ঘর ছাড়া। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা ভাঙচুর সংঘর্ষ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এ অভিযান ও গণ গ্রেপ্তার চলছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বেশি ভাগে বিএনপি ও জামায়াতী ইসলামের নেতা কর্মী।
সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন ১ জুলাই থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে।
গাইবান্ধায় কোটা আন্দোলনে দুটি মামলায় অন্তত ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৭৭ জন।
প্রত্যেকটি মামলায় বিএনপি,জামায়াত, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শিবিরের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলা হয়, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) গাইবান্ধা  জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছাকা বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিনের ছেলে সৌমিকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনে মহাজোট প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে সিজনকেও মামলার আসামি করা হয়।
দ্বিতীয় মামলা, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গাইবান্ধার সদর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন বাদি হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করেন।
দুই মামলায় ১৭ই জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়েত ৭৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
নতুন ও পুরাতন মামলায় গ্রেফতার এড়াতে শত শত বিএনপি জামায়েতর নেতাকর্মী ঘর-বাড়ী ছাড়া। আত্ম গোপনে আছেন জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতে চলছে পুলিশের অভিযান। এসব মামলায় দায়েরের পর থেকে আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। শহরেও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম লিয়াকত বলেন, গ্রেফতার এর নামে নেতাকর্মীদের বাড়িতে চলছে পুলিশি অভিযান ও হয়রানি। প্রায় সকল নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়া।
বিএনপির জেলা সভাপতি মুয়নুল হাসান সাদিক বলেন, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ড. ময়নুল হাসান সাদিক দাবি করে বলেন, এ পর্যন্ত বিএনপির ৮৬ নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদ রানা বলেন, দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার অভিযান চলোমান রয়েছে।
Exit mobile version