গাজীপুরের সন্ত্রাসীদের কারাগারে না পাঠানো পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো গাজীপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সন্ত্রাসীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের যোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে।

এসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, এই সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ইন্টেলিজেন্স যদি আজকে রাতের মধ্যেই হামলায় জড়িত খুনি-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে না পারে, তাহলে আমাদের তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী সড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।

এসময় তিনি হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করে কারাগারে না পাঠানো পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের ঘোষণা দেন।

 

তিনি বলেন, কোথাও আমাদের কোনো সহযোদ্ধার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা হলে পুরো বাংলাদেশ আবার নতুন করে জেগে উঠবে। আমরা প্রয়োজনে যেমন ঢাকায় নামতে পারি, তেমনই গাজীপুরে আসতে পারি। প্রয়োজনে দেশের প্রত্যেক জেলায় জেলায় যেতে পারি। অভ্যুত্থানে দেখিয়েছি, এ দেশের ছাত্র-জনতা সঠিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ধৈর্য ধরেছে। কিন্তু একটা ধৈর্যের বাধ আছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা কাজ করছে, তারা যদি আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে দেয় তাহলে দেশে নতুন আরেকটি বিপ্লব দেখতে হবে।

এর আগে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান।

এতে আহত হন ১৫ জন। এরমধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ হামলার প্রতিবাদে রাতেই গাজীপুর মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সমাবেশে সারজিস আলম অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যখন নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা করে, তখন বার বার পুলিশকে খবর দিলেও তারা সঠিক সময়ে আসেনি। ঘটনার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আসে।

Exit mobile version