জয়নুল আবদিন ফারুক রোহিঙ্গা নিয়েও টাকা কামিয়েছেন হাসিনা

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়ে আপনি কক্সবাজার গিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবকে আপনি বলে দেবেন, শেখ হাসিনা এই রোহিঙ্গা নিয়ে রাজনীতি করে টাকা কামিয়েছে, টাকা। মন খুলে জাতিসংঘের মহাসচিবকে সব কিছু বলে দেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় আসেন। শুক্রবার সকালে তিনি কক্সবাজার পৌঁছেছেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তার ইফতার করার কথা রয়েছে। গুতেরেসের সফরসঙ্গী হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় তৎপরতা ও অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

‘নির্বাচন দিন ’

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আজো কেন ছিনতাই হয়? আজো কেন সচিবালয় আগুন লাগে? আজো কেন আছিয়া ধর্ষিত হয়? প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাহেব খোঁজ নিয়ে দেখুন, এরা কারা? যাদের কাছে অবৈধ টাকা আছে, যারা এখনো আমাদের মতো সমাজে কিছু লোকের সাথে থেকে অর্থ দিয়ে এসব অঘটন করাচ্ছে।

এদের বিরুদ্ধে আপনাকে (অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে আপনি টিকবেন, এই লড়াইয়ে আপনার সাথে আমরা আছি।

তিনি বলেন, সকল ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এমন ঐক্য- যে ঐক্যে আবু সাঈদ, মুগ্ধের রক্ত বৃথা যাবে না, যে রক্ত বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, যে ঐক্য মৃত ব্যক্তি আর কবর থেকে উঠে ভোট দেবে না। এমন ঐক্য চাই, যে ঐক্য হাই কোর্টে বিচার না পাইলে হাই কোর্টের সামনে ময়লাস্তূপ ফেলবে না, হাই কোর্টের এজলাসে লাথি মারবে না।

 

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘এরকম ঐক্য আমরা চাই যে- ঐক্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একটি নির্বাচন দিয়ে দেন। কারণ আপনি আর রাষ্ট্র চালাতে পারছেন বলে জনগণ কথা বলা শুরু করেছে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে প্রয়োজন নির্বাচন; সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

‘হাসিনা দেশের সম্পদ লুট করেছে’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফারুক বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, পালিয়ে থাকেন। আপনি ১৮টি স্টিলের বাক্স করে বাংলাদেশের ধনদৌলত-ডলার-রুবেল সব নিয়ে গেছেন। আপনার চামচারা, আপনার নির্যাতনকারী মন্ত্রীরা বাংলাদেশের সকল সস্পদ লুট করে নিয়ে গেছে।

বিদেশের মাটিতে আজকে আপনারা ফাইভ স্টারে থাকেন, বিদেশের মাটিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকেন। ভিক্ষা করে তো খান না, কারো বাসায় তো থাকেন না। তাই আপনাদেরকে বলতে চাই, ১৮ কোটি মানুষের থেকে বিদায় নিয়েছেন- ওখানেই(ভারত) থাকেন। যদি কোনো দিন গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারেন, ইনশাল্লাহ আপনাদেরকে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিবাদ করি, হাসিনাকে ফেরত পাওয়ার জন্য লেখালেখি করি। কেন আপনারা (ভারত) ফেরত দেন না?

‘যদি সত্যিকার অর্থে আপনারা (ভারত) বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যদি সহযোহিতা করে থাকেন- তাহলে নরেন্দ্র মোদী সরকার কোনোদিনও হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে, গণতন্ত্র হত্যাকারিনীকে, আয়নাঘর নির্মাণকারীকে সমর্থন দিতেন না।

শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকম মোজাম্মেল, শাহ মো. নেছারুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, কৃষক দলের মামুনুর রশীদ খান।

Exit mobile version