ট্রেনে আগুন লাগানোয় ৪ জনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে র‌্যাব

রাজধানীতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস এক্সপ্রেস নামক ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র‌্যাব-৩-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ কিছু ক্লু ও নাম পেয়েছি। যাদের নাম ও ছবি পেয়েছি, তাদের মধ্যে দুজন বিরোধী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, আর দুজন ভাসমান ব্যক্তি বলে জানতে পেরেছি। এখন যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’

ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেন, মৌলভীবাজারে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব নাশকতাকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমাল রক্ষায় র্যাব-৩ কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস পৌঁছালে তাতে আগুন লাগার বিষয়টি জানা যায়। এ আগুনে মা ও শিশুসন্তানসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন।

পরে মঙ্গলবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) খালেদ মোশাররফ বাদী হয়ে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। রেলওয়ে থানায় মামলা হলেও ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে ডিএমপি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে; এই প্রত্যয় নিয়েই সংগ্রাম করেছি। অনেক সংগ্রাম, ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের পার করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে। তারপরও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসি। জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল ৭৫-এর পরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বর্ণযুগ।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি কত মানুষকে হত্যা করেছে তার কোনো হিসাব নেই। আমাদের মা-বোনদের ওপর পাকিস্তানিরা যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেভাবেই নির্যাতন করেছে। সেইসময় ফাহিমা, মহিমা, রুমা আত্মহত্যা করে নিজেদের ইজ্জত বাঁচান। এ রকম একটা তাণ্ডব শুধু নয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন বাংলাদেশ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পাঁচ বার দুর্নীতিতে তারা বিশ্বে এক নম্বর হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আমাদের কত নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে তার হিসাব নেই। আমরা নিজেই বারবার তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি। তারপরও আমরা কিন্তু দমে যাইনি। বরং এগিয়ে গিয়েছি। আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, এত বাধা বিপত্তি, অত্যাচার, নির্যাতন, সবকিছু সহ্য করে নেতাকর্মীরা সংগঠনকে ধরে রেখেছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে, বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে।’

Exit mobile version