গোপাল চন্দ্র রায়, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে ইটভাটা মালিকদের ৭ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি ডোমার শাখার নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি ডোমার উপজেলা শাখার সভাপতি শালকী ব্রিকস ইটভাটার মালিক জাফর ইকবাল পলাশ, সাধারণ সম্পাদক থ্রিথ্রিবি ব্রিকস ইটভাটার মালিক একরামুল হক বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএসবি ইটভাটার মালিক জামিয়ার রহমান।
মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জিগজ্যাগ ইটভাটাগুলো পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনিক জটিলতা, লাইসেন্স নবায়নে বাধা এবং মোবাইল কোর্টের অভিযানের ফলে ইটভাটা মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এসব সমস্যার সমাধান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জিগজ্যাগ ইটভাটার জন্য দূরত্ব সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা, ইটভাটায় প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ ও মোবাইল কোর্টের অভিযান স্থগিত করা, সরকার যদি কোনো ইটভাটা বন্ধ করে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, মাটি কাটার অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে, পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নের ক্ষেত্রে মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে, ইটভাটাকে শিল্প খাত হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে, ইটভাটা পরিচালনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ও পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
ইটভাটা মালিকরা জানান, দেশের অর্থনীতিতে ইটভাটা শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক প্রত্যক্ষভাবে এ খাতে কর্মরত। অথচ বিভিন্ন অযৌক্তিক নীতিমালা, প্রশাসনিক হয়রানি ও মোবাইল কোর্টের অভিযানের কারণে ইটভাটা মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
তারা আরও জানান, সরকার যদি তাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া না দেয়, তবে ঈদের পর ঢাকায় মহাসমাবেশসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ইটভাটা মালিকেরা তাদের ৭ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করেছেন। আমি এটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠাব। যাতে তা প্রধান উপদেষ্টার নিকট পৌঁছায়।