গোপাল চন্দ্র রায়-ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে গত দুদিনে ১২টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ এবং ৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ডোমার শহরের ৬টি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার যথাক্রমে সেভেনস্টার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আনসার আলী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আপডেট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডোমার স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় ছোটরাউতা সাহা পাড়াস্থ আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মাদ্রাসা পাড়ার ডোমার স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছারা রোগীদের চিকিৎসার জন্য তালিকা মূল্যের বেশি অর্থ গ্রহণ করার অপরাধে আপডেট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক গোলাম মোস্তফাকে ৫হাজার টাকা, মাদ্রাসাপাড়ায় ডোমার স্কয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক লক্ষণ রায়কে লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় ৩হাজার টাকা জরিমানা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার ৬টি প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ কীট, ঔষধ ও রিয়াজন রাখার অপরাধে হেলথ কিউর হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ১০হাজার টাকা, ফ্রেন্ডস হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ১০হাজার টাকা এবং বর্জ ব্যবস্থাপনা সঠিক না থাকায় ডক্টরস ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোমের মালিককে ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তপন কুমার রায়, মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডাঃ আবুল আলা ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আল আমিন রহমান।
