ডোমারে হাটের অতিরিক্ত টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। ছাগল ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাই

গোপাল চন্দ্র রায়, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারের বসুনিয়া হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র ছাগল ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে হাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৩জনসহ অজ্ঞাত ৯০থেকে ১০০জনকে আসামি করে ডোমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাগল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বসুনিয়া হাটে। অভিযোগে জানা গেছে, একটি ছাগল বিক্রির রশিদের মূল্য ১৮০টাকা নির্ধারণ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনী। ঘটনার দিন ছাগল প্রতি ৩০টাকা করে বেশি টোল নেয়া হলে প্রতিবাদ করেন ছাগল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ইজারাদারের লোকজন জাহাঙ্গীর হোসেনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় সকল ছাগল ব্যবসায়ী এক জোট হয়ে প্রতিবাদ করিলে ইজারাদারের লোকজন তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হাছান আলীর পকেট থেকে ৭২হাজার, আক্তারুল ইসলামের ৭৬হাজার, জয়নাল আবেদিনের ২লাখ ১০হাজার, দুলাল হোসেনের ১লাখ ১৫হাজার, এরশাদুল হোসেনের ৮০হাজার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ৭০হাজার ৭০০, সুরুজ্জামানের ২লাখ ৩০হাজার, রমজান আলীর ১লাখ ৫০হাজার, মোখলেস আলীর ১১হাজার ৩০০, এরশাদ হোসেনের ১লাখ ৩০হাজার, রাশেদুল ইসলামের ৮২হাজারসহ সর্বমোট ১৩লাখ ২৬হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন ইজারাদারের লোকজন। সংঘর্ষে ১০জন আহত হলেও গুরুতর আহত হাছান আলী ও মোখলেছ আলীকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ছাগল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাদী হয়ে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের আছাদ আলীর ছেলে মামুন, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আকবর আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়া গ্রামের মোফাখ্খারুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৯০থেকে ১০০জনকে আসামি করে ডোমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম জানান, ব্যবসায়ীরা আমার কাছে এসে অভিযোগ করেছেন। আমি ইজারাদারকে ডেকেছি। অতিরিক্ত টোল আদায়ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Exit mobile version