ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার কয়টা মামলা দিয়েছে জানেন?

কেন দিয়েছে জানেন? কারণ তারাও জানতো তারা বিতাড়িত হলে ড. ইউনূসই ক্ষমতায় আসবে। জানতো বলেই ৮৩ বছরের প্রবীণ বিশ্ববরেণ্য একজন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে শত শত মামলা করেছিল। জানতো বলেই ওবায়দুল কাদের বলেছিল “কি ফকরুল সাহেব জায়গা দিবেন না?” তারা জানতো তাদের পায়ের তলার মাটি আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছিল। ড. ইউনূস কি দুর্নীতি করেছে? তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই কিছু অন্যায় করেছিলেন। ট্যাক্স ধরে টান দিলে বাংলাদেশের ৯৮% মানুষকে ফাঁসানো সম্ভব। ড. ইউনূসের চেয়ে হাজার না বরং লক্ষ কোটি গুন্ বেশি দুর্নীতি করেছে সালমান রহমান, এস আলমসহ আরো অসংখ্য মানুষ। অথচ তারা ছিল রাজার হালে। সমস্যাটা দুর্নীতি ফুর্নীতি না। সমস্যাটা ছিল ভয় আর ঈর্ষা। সমস্যা ছিল দুর্নীতিবাজরা যদি উনার দলের হয় তাহলে ধোয়া তুলসীপাতা। আর তা না হলে সে দুর্নীতিবাজ। এই choose and pick করাটাই আসল সমস্যা।

যারা আওয়ামীলীগ করে তারা এখন ড. ইউনূসের উপর রাগ কারন তারা এখন শেখ হাসিনা সরকারের ছায়াতলে বসে দুর্নীতি করতে পারছে না। ড. ইউনূসের উপর রাগ কারন তারা আগের অবস্থায় ফেরত যেতে চায়। বিএনপি জামাতও চায় তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যেন নির্বাচন দিলেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আসলে তারা চায় ওই একই দুর্নীতির বৃত্তে ফিরে যেতে। তারা নির্বাচন চায় কারণ ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিশোধ নিবে আর বিভিন্ন সেক্টরে নিজেদের লোক বসিয়ে আবারও লুটপাটের রাজত্ব আর ধর্মান্ধতায় ফিরতে চায়।

পৃথিবীর উন্নত বিশ্বের ডাটা নিলে দেখা যাবে দুর্নীতি আর ধর্মান্ধতা দুটোই কমাতে না পারলে পৃথিবীর কোন দেশ উন্নত হতে পারে না। ধর্ম পালন করা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস না। নিজে ধর্ম পালন রেখে সারাক্ষন অন্যরা ধর্ম পালন করছে কিনা, অন্য ধর্ম কতটা খারাপ সেই চর্চা করার মধ্যে মগ্ন থাকাকে ধর্মান্ধতা বলে। একটি দেশের অধিকাংশ মানুষ যখন এই ভাবনায় মগ্ন থাকে সেই সমাজে জ্ঞান বিজ্ঞান বিস্তার লাভ করতে পারে না। দেশ হতে হবে pluralistic এবং inclusive! মানুষ মানুষকে তার কর্ম দিয়ে বিচার করবে আর সৃষ্টিকর্তা মানুষের ধর্ম দিয়ে বিচার করবে। অথচ মানুষই এখন সৃষ্টিকর্তার কাজ করে ফেলছে।

Exit mobile version