তানোরের কামারগাঁ ইউপির ধানুরা কাপ-পিরিচের ভরাডুবি

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না (কাপ-পিরিচ) প্রতিক নিয়ে তানোরের রাজনীতির ইতিহাসে সব থেকে বেশী ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে (কাপ-পিরিচ) প্রতিকের জয়জয়কার। অথচ উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড ধানুরায় (কাপ-পিরিচ) প্রতিকের ভরাডুবি হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ, জনমনেও দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের
অধিকাংশ গভীর নলকুপ অপারেটরদের চরম দৌরাত্ম্যে  ও কৃষক শোষণে এমন পরিস্থিতির সুত্রপাত হয়েছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিকল্প নেতৃত্বের সন্ধানে (কাপ-পিরিচ)  প্রতিকের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে এসব অপারেটর পরিবর্তন করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তা না হলে কামারগাঁ ইউপি উপনির্বাচনে এখানে আবারো আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত। একশ্রেণীর অপারেটরের দৌরাত্ম্যে সাধারণ কৃষক ফুঁসে উঠেছে। এমনকি তাদের কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র চাপা পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ ও দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গভীর নলকুপের একশ্রেণীর অপারেটর এলাকার কৃষকের কাছে ওয়াটার লর্ড (জল জমিদার) ও  মুর্তিমান আতঙ্ক
হয়ে উঠেছে। গভীর নলকুপ স্কীমের জমি সাধারণ কৃষকের, রাজত্ব এসব অপারেটরদের। প্রতিবছর আলু মৌসুমে কৃষকের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি ফড়িয়া আলুচাষিদের ইজারা দেয় অপারেটরেরা। কেউ ইজারা দিতে না চাইলে তার জমিতে সেচ বন্ধ করে দেয়। এতে কৃষকেরা বাধ্য হয় অপারেটরের কাছে জমি দিতে। কিন্ত্ত অপারেটরেরা প্রতি বিঘা জমি ১৮ হাজার টাকায় ইজারা দেন। আর জমির মালিককে ১০-১২ টাকা দেন। এটা অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী কৃষকের দুঃখ-দুরদশা লাঘবের জন্য সকল গভীর নলকুপ সমিতির মাধ্যমে পরিচালনা ও স্কীমের কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএমডিএ  কর্তৃপক্ষেরও নির্দেশনা রয়েছে।কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।#
Exit mobile version