আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মাঝ দলীয় কোন্দল ও মতবিরোধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের স্বজনপ্রীতি নিয়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তার একলা চলো নীতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অথচ তিনি ময়নাকে মাইনাস করে উপজেলা চেয়ারম্যান হবার স্বপ্ন দেখছেন।
জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোগে পাঁচন্দর ইউপি (দক্ষিন) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং (উত্তর) শাখার সম্পাদক একরামুল হকের সঞ্চালনায় কৃষ্ণপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। এদিকে মতবিনিময় সভার ব্যানারে একরামুল হকের মতো বির্তকিত ও জুনিয়র নেতার নাম থাকলেও, নাম দেয়া হয়নি (উত্তর)
সভাপতি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব ইসরাইল হোসেনের। বিষয়টি নেতাকর্মীরা সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি, কিন্ত্ত এমপির সম্মানের কথা বিবেচনা করে কেউ প্রতিবাদ করেনি।
মুলত এসব নিয়ে ইউপি আওয়ামী লীগের নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ-অসন্তোষ ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন এমপি চলে যাবার পর বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মতিনের সঙ্গে নেতাকর্মীরা প্রচন্ড বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানকে নিয়ে স্লোগান দেয়।
পাঁচন্দর উত্তর আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের সভাপতিকে অবজ্ঞা করেছে চেয়ারম্যান মতিন। তারাও তাদের এলাকায় মতিনকে মেনে নিবেন না। কারণ মতিনের কথা মতো চললে গভীর নলকুপ অপারেটর, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। তার স্বজনপ্রীতি কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। আগামিতে তারা তার বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কারকে নিয়ে আসবেন। এবিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে একরামুল হক বলেন এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি, এসব সাংবাদিকদের বানানো কথা।তিনি বলেন, একটা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। #