তানোরে আগের দামে সার পাচ্ছে না কৃষক

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে বিসিআইসি সার ডিলারদের কাছে আগের দামে সার পাচ্ছেন না কৃষকেরা বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষি বিভাগের তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় অসাধু ডিলারগণ এই সুযোগ নিয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার সরকার সব ধরণের সারের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা করে বাড়িয়েছেন। এদিকে ঘোষণার পর থেকে ডিলারগণ নানা অজুহাতে সার নাই বলে গুদাম বন্ধ রেখেছে। কৃষকেরা বলছে, গত সোমবার থেকে ডিলারদের ঘরে ধর্ণা দিয়ে এক ছটাক সার কিনতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়,উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে বিসিআইসির
৯জন সার ডিলার রয়েছে। গত মঙ্গলবার দেয়া তথ্যমতে এসব ডিলারের কাছে ইউরিয়া সার ২৬৯ মেট্রিক টন, টিএসপি ২৪৯ মেট্রিক টন, পটাশ সাড়ে ২৫ মেট্রিক টন  ডিএপি  ১১১.৪ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। কিন্ত্ত অধিকাংশ ডিলার
গত সোমবার থেকে সার বিক্রি না করে নানা তালবাহানা করছে।অথচ নতুন দাম ঘোষণার পর বরাদ্দের সার আসতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগার কথা। এবিষয়ে উপজেলা বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি মেসার্স মোল্লা টেড্রার্সের স্বত্ত্বনধিকারী মোহাম্মাদ আলী বাবু জানান, গত মঙ্গলবারে কৃষি কর্মকর্তা প্রতিটি দোকানে গিয়ে সারের হিসেব নিয়ে আগের দামেই বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং বুধবারে প্রতি পয়েন্টে একজন করে উপসহকারির উপস্থিতিতে আগের মুল্যে সার বিক্রি হয়েছে। তবে মজুদ কৃত সার শেষ হওয়ার পর নতুন বরাদ্দকৃত সার পেলে নতুন রেটে বিক্রি করতে হবে। যদি কোন ডিলার মজুদকৃত সারের দাম বেশি নেয় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে। যাদের সার মজুদ আছে তারা যেনো কোনভাবেই বাড়তি দাম না নেই, যদি নেই সেক্ষেত্রে হয় তো লাইসেন্স বাতিলও হতে পারে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, নতুন দাম ঘোষণার পর প্রতিটি ডিলারের দোকানে একজন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে বেশী দাম নেয়ার অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Exit mobile version