তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর অবস্থায় আটক দুজনকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) লসিরামপুর এমদাদ মন্ডলের পুত্র নাইম আলী। গত ২৭ জুলাই বৃহস্প্রতিবার দিবাগত রাতে গোল্লাপাড়া আনন্দ সিনেমা হল এলাকায় জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। এদিকে তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে গ্রামবাসি ঘরের জানালায় উঁকি দিয়ে জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে তাকে আপত্তির অবস্থায় দেখতে পাই। গ্রামবাসি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ৯৯৯ ফোন দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ এসে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।ওদিকে খবর পেয়ে তালন্দ ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য(মেম্বার) ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল করিম থানায় এসে প্রভাববিস্তার করে আপোষ-মিমাংসার নামে তাদের ছাড়িয়ে নেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানায়, সালিশের নামে নাইম আলীর পরিবারের কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিবিধ খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা কেটে রেখে, ভিকটিমকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে জোরপুর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়। লসিরামপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নাইম তার ভাতিজা হয়, ওই রাতে ২০ হাজার টাকা মেয়েকে দিয়ে তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়, করিম মেম্বার তাকে ছাড়িয়ে আনে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনা স্থল থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আশা হয়। কিন্তু কোনো পক্ষই কোনো অভিযোগ না করায় তাদের নিজ নিজ অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এবিষয়ে তানোর থানার এসআই ইমরান হোসেন বলেন, বাইরে আপোষ করে আপোষনামা থানায় জমা দিয়ে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল করিম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন এবিষয়ে এখন কোনো কথা বলতে পারবেন না। এবিষয়ে নাইম আলী বলেন, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্ত্ত গ্রামবাসি না বুঝে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।#
তানোর প্রতিনিধি