বাবু,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে কৃষকের পকেট কাটছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
(বিএমডিএ)।বিএমডিএর গভীর নলকুপ অপারেটরের আবেদন ফরম উত্তোলনে এক হাজার টাকা করে (অফেরতযোগ্য) নেয়া হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে ফরম বিক্রি করেই কৃষকের কাছে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিএমডিএ। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন পর কৃষিবান্ধব এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কৃষকদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, উপজেলায় বিএমডিএ’র ৫৩৬টি ও ব্যক্তিমালিকানা ১৬টি মোট ৫৫২টি গভীর নলকুপ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একেকটি গভীর নলকুপের বিপরীতে যদি গড়ে ৪টি করে ফরম উত্তোলন হয়। তাহলে সেই হিসেবে ৫৩৬টি গভীর নলকুপের বিপরীতে ২ হাজার ২২৪টি ফরম উত্তোলন করা হয়েছে। ফরম প্রতি এক হাজার টাকা হিসেবে ২২ লাখ ২৪ হাজার টাকা কৃষকের পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র বলেন,,এক উপজেলাতেই শুধুমাত্র ফরম বিক্রি করেই এতো বিপুল পরিমাণ টাকার অবৈধ বাণিজ্যে করা হচ্ছে। যা সম্পুর্ণ বেআইনি, দুঃখজনক ও অমানবিক।
বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, কৃষকের স্বার্থে গভীর নলকুপ। কাজেই স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে পরিচালনা করা হলেই তো,এভাবে কৃষকের পকেট কাটা লাগে না। যাকে অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে কেবলমাত্র তার কাছে থেকেই জামানত ও ফরমের দাম নেয়া যেতে পারে। আর আবেদন করতে ফরমের জন্য ফেরতযোগ্য টাকা নেয়া যেতেই পারে।
এদিকে ফরম বাণিজ্যের পাশাপাশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে জম্পেশ তদ্বির বাণিজ্যে শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি বিএমডিএর একশ্রেণীর কর্মকর্তা তদ্বির বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের প্রায় ১৬০০ ফরম বিক্রি হয়েছে।তিনি বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগ করা হবে, তদ্বিরের প্রশ্নই আসে না।